ভারতের বিপক্ষে জিততে কী করণীয়


প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৫

বাংলাদেশকে আজ কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিততে হলে কী করতে হবে? ক্রিকইনফোর বাংলাদেশের প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম জানিয়েছেন পাঁচটি করণীয়।

১. নির্ভার হয়ে খেলা
বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে অনেকেই ভাবেননি যে, বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। ২০১৪ সালে নিষ্প্রভ থাকায় এই নিরাসক্তি ছিল। মনে করা হয়েছিল, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারালেই চলবে। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডকে হারানোর পর ছবিটা বদলে যায়। বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ওপর খুব বেশি চাপ নেই। তবে হ্যাঁ, ১৬ কোটি বাঙালির প্রত্যাশা পর্বতসম। এটা একটা চাপ বটে। সেই তুলনায় অবশ্য চাপটা ভারতের ওপরই বেশি। হারলেই বিদায়। ধোনিদের জন্য যা হবে অসহনীয়।

২. শুরুতেই উইকেট নিতে হবে
বাংলাদেশ প্রথমে বোলিং করুক কিংবা পরে, শুরুটা হওয়া চাই দুর্দান্ত। চারটি গ্রুপ ম্যাচে রুবেলরা প্রথম দশ ওভারে অন্তত একটি উইকেট নিয়েছেন। শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা একবারই ১৭৪ রানের জুটি গড়েছেন আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। গ্রুপের অপর পাঁচ ম্যাচে এই জুটি ৭.৩ ওভারের বেশি টিকে থাকতে পারেনি। এই ছোট্ট পরিসংখ্যান প্রেরণা হতে পারে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য।

৩. ডেথ ওভারে ভালো বোলিং
এই বিশ্বকাপে ভারতের রানরেট প্রথম ১০ ওভারে ৪/৬৫, ১১তম ওভার থেকে ৪০তম ওভার পর্যন্ত ৫.৮৮ এবং শেষ ১০ ওভারে ৮.৮৬। প্রথমে কিংবা পরে যখনই বোলিং করা হোক না কেন, ভারতের এই রান স্পৃহায় ছেদ টানতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের।

৪.শর্ট বল ঠিকমতো খেলা 
মোহাম্মদ সামি, উমেশ যাদব ও মোহিত শর্মার অস্ত্র বাউন্সার। তাই শর্ট বল ঠিকঠাকমতো খেলাটাই হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এবং

৫. ভারতের বিপক্ষে খেলাকে প্রেরণা হিসেবে নেওয়া
বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা অতীতে বেশ কয়েকবার বলেছেন যে, ভারতের বিপক্ষে খেলতে নামলে তারা অনুপ্রাণিত হন। ২০০৭ বিশ্বকাপে জেতার পর থেকে এমন কথা শোনা গেছে। যদিও এরপর বাংলাদেশ শুধু একবার ভারতকে হারিয়েছে ঢাকায় ২০১২ এশিয়া কাপে। তবুও ভারতকে সামনে পেলে সাকিবরা রোমাঞ্চ বোধ করেন। কে না চায় প্রতিবেশীকে হারাতে?

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।