আটককৃতরা স্কুলের অভিভাবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো : র্যাব
রাজধানীর কলাবাগান ও উত্তরা থেকে জেএমবির সারওয়ার-তামিম গ্রুপের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করে র্যাব-৪ এর একটি দল। আটককৃতদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছে।
র্যাবের দাবি, আটককৃতরা উত্তরার লাইফ স্কুলের মসজিদে বসে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ করতো। তবে এ পর্যন্ত লাইফ স্কুলের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের কোনো অভিযোগ আসেনি বলেও স্বীকার করেছে র্যাব।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(এডিজি-অপারেশন্স) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে উদ্বুদ্ধকরণের সঙ্গে শরীফ, শাহরিয়ার ও মিজানের সবচেয়ে বেশি জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
লাইফ স্কুলে একটি নামাজ ঘর ছিল, যা পরবর্তীতে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। স্কুলটিতে শিক্ষার্থী ভর্তির সময় তারা বাবা-মায়ের ইন্টারভিউ নিতো। যেসব অভিভাবককে তারা নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারবে তাদের সন্তানদেরই কেবল ভর্তি নেয়া হত।
তিনি আরও বলেন, এই ১০ জনের বিরুদ্ধে সরাসরি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়া গেলেও সারোয়ার-তামিম গ্রুপের যেসব সদস্য মারা গেছে এরা তাদের উদ্বুদ্ধকরণের কাজ করেছে।
এর আগে রোববার দিবাগত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত র্যাবের এই অভিযান চলে। আটককৃতরা উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরের লাইফ স্কুলের সাবেক অধ্যাক্ষ শরিফুল ইসলাম (৪৬), তার ভাগ্নে ও স্কুলের সাবেক পরিচালক জিয়াউর রহামন (৩১), বর্তমান অধ্যতক্ষ মো. মিজানুর রহমান (৪৩), আবু সাদাত মো. সুলতান আল রাজি ওরফে লিটন (৪১), আল মিজানুর রশিদ (৪১), জান্নাতুল মহল ওরফে জিন্নাহ (৬০) মো. কৌশিক আদনান সোবহান (৩৭) মেরাজ আলী (৩০) মুফতি আবদুর রহমান বিন আতাউল্লাহ (৩৭) ও মো. শাহরিয়ার ওয়াজেদ খান (৩৬)।
অভিন্ন একটি গ্রুপকে পুলিশ বলছে নব্য-জেএমবি আর র্যাব বলছে সারওয়ার-তামিম গ্রুপ। কেন দু ধরণের পরিচয়? সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এডিজি বলেন, ‘নব্য-জেএমবি না সারওয়ার-তামিম এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না’।
এআর/ওআর/পিআর