মায়ের আদরে বেঁচে উঠলো মৃত শিশু


প্রকাশিত: ০৯:১০ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৫

২০১০-এর এক ভয়াবহ দিনের স্মৃতিচারণ করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের কেট আর ডেভিড ওগ দম্পতি। সেদিন কেট নির্ধারিত সময়ের ১৪ সপ্তাহ আগেই জন্ম দিয়েছেন জমজ দুই ছেলে-মেয়ের। মেয়েটি সুস্থ। কিন্তু ডাক্তার জানিয়ে দিলেন ছেলেটি মারা যাচ্ছে। ডাক্তাররা হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

কেট বাস্তবতা মেনে নিলেন। কিন্তু শেষবারের মতো আদর করতে চাইলেন তার প্রিয়তম সন্তানকে।

বিছানায় নিঃসাড় পড়ে রয়েছে শিশুটির দেহ। পরম মততায় তাকে বুকের মধ্যে টেনে নিলেন কেট। কেটকে জড়িয়ে ধরলেন ডেভিড। যেন সবটুকু ভালবাসা দিয়ে বিদায় জানাতে চাইলেন পৃথিবীতে এসেই ফিরে যাওয়া দেবশিশুটিকে।

তখনই ঘটলো ‘অলৌকিক’ ঘটনাটি, কেট আর ডেভিড একে অলৌকিকই মনে করেন। নিঃশ্বাস নিতে শুরু করলো শিশুটি। ছুটে এলেন ডাক্তার। বেঁচে উঠলো কেট-ডেভিড দম্পতির আদরের ধন।

পাঁচ বছর পর কেমন আছে এই শিশুটি? তারই খোঁজ নিয়েছিল বিখ্যাত হাফিংটন পোস্ট পত্রিকা। দিব্যি হেসে-খেলে বড় হচ্ছে জেমি আর তার বোন এমিলি। জেমি’র বাবা-মা তাকে শুনিয়েছেন তার জন্মের সময়ের এই অদ্ভুত গল্প। তারা প্রায়ই তাকে বলেন, আসলে জেমি এমিলির চেয়ে দুই মিনিটের বড়, কিন্তু এমিলি জেমির চেয়ে দুই মিনিট বেশি সময় বেঁচে আছে।

চিকিৎসাশাস্ত্রে কিছুটা কম প্রচলিত ‘ক্যাঙ্গারু কেয়ার’ বলে একটি বিষয়কে যেন এই ঘটনা ভাল ভিত্তি দিয়েছে। এই রীতিতে বলা হয়, সদ্যজাত শিশু মায়ের শরীরের সংস্পর্শে স্বাস্থ্যসুবিধা পায়। যুক্তরাষ্ট্রের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে এই ব্যবস্থা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সন্দেহ নেই ওগ দম্পতি এতে পুরোপুরি বিশ্বাস করেন। তাদের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান বাবা-মা তারাই।

এসআরজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।