বাতিল হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও এ সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিও সরকারের এ সিদ্ধান্তে সহমত প্রকাশ করেছে।
কোটা বাতিলকরণে এরই মধ্যে সরকারি কর্মচারী আইনের খসড়াও চূড়ান্ত করা হয়েছে। পর্যালোচনা শেষে শিগগিরই এটি জাতীয় সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে নতুন এ আইনটির খসড়া পাঠানো হয়েছে। কমিটির সদস্যরা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনাও করেছেন। অধিকাংশ সদস্যই আইনটির পক্ষে মত দিয়ে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের শুধু চাকরি কেন সব ক্ষেত্রেই তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে দেয়া উচিত। বর্তমান সরকার এটি করছেও। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততি কিংবা তাদের নাতি-পুতিদের কোটা সুবিধা দেয়া ঠিক হচ্ছে না। এতে দেশের চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তা ছাড়া এ সুযোগ নিয়ে অনেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ জোগাড় করে চাকরিতে কোটার সুবিধা নিচ্ছেন। তাই এটি বন্ধ হওয়া উচিত। তাদের অনেকে আবার শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের কোটা নয়, জেলা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিলেরও দাবি তোলেন।
বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক চাকরি বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রয়েছে ৩০ শতাংশ। এছাড়া জেলা কোটা ১০ শতাংশ, নারী কোটা ১০ শতাংশ, উপজাতি কোটা রয়েছে ৫ শতাংশ। এতে মোট ৫৫ শতাংশ নিয়োগ হয় কোটায়। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয় মেধার ভিত্তিতে।
সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে যে কোটা রয়েছে তাতে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান-সন্ততিদের ব্যাপারে যে কোটা মানা হচ্ছে এবং জেলাভিত্তিক যে কোটা অনুসরণ করা হচ্ছে সেটি উঠিয়ে দেয়া উচিত। মুক্তিযোদ্ধাদের কোটাটি বড়জোড় সন্তান পর্যন্ত রাখা যেতে পারে কিন্তু নাতি কিংবা পুতিদের এসব সুবিধা দেয়া একেবারেই উচিত হবে না।
এএ