নিয়ন্ত্রণে আসেনি গুলশানের আগুন


প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৭

গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের প্রায় সাড়ে ১০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এরই মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে পাশের গুলশান শপিং কমপ্লেক্সেও। এছাড়া আগুন লাগার প্রায় আধা ঘণ্টার মধ্যে ভবনের কাঁচাবাজার অংশ ধসে পড়ে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছোট ছোট কুণ্ডলি দেখা গেছে।

সোমাবার রাত আড়াইটার দিকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনের ঘটনায় সিটি কর্পোরেশনের দুটি মার্কেটের ৬০৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।  
agun
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণের এক পর্যায়ে চরম পানির সংকট দেখা দেয়। স্থানীয় কয়েকটি ভবন ও ঢাকা ওয়াসার পানির গাড়ি দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়।

আগুন নিয়ন্ত্রণে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক সমিতির নেতারা। তারা বলছেন- ‘এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, নাশকতা।’ পরিকল্পিতভাবেই তাদেকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করতে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনো হয়েছে।

agun
দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে সড়কে জমা করেছেন

এদিকে সকালে ডিসিসি মার্কেটের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ৯টার দিকে হঠাৎ করেই ধসে পড়া কাঁচাবাজারে আগুন বাড়তে থাকে। সেখান থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের গুলশান শপিং কমপ্লেক্সেও। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের লোকজন চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে।

ডিসিসি মার্কেটের আশপাশেল ভবনগুলো থেকে দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন। দোকানের মালামালে ভরে গেছে আশপাশের সব সড়কগুলো। লাখ লাখ টাকার মালামাল বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। তাড়াহুড়ো করে মালামাল নামাতে গিয়ে আহতও হয়েছেন কেউ কেউ। অনেকেই আবার ভারি মালামাল নামাতে না পেরে আহাজারি করছেন।

agun
দোকানিরা তাদের মালামাল সরিয়ে সড়কে জমা করেছেন

ডিসিসি মার্কেট ও ডিসিসি কাঁচাবাজারে পুড়ে যাওয়া ৬০৫টি দোকানের প্রতিটিতে অন্তত ৫০ লাখ টাকার বেশি করে ক্ষতি হয়েছে বলে দবি করছেন মালিকরা। সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। চোখের সামনে পুড়ে যাওয়া দোকান দেখে অনেকেই মার্কেটের সামনে হাউ-মাউ করে কান্না করছেন।

এমএসএস/জেইউ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।