সংবাদ সম্মেলন : আন্দোলন চাঙ্গা করাই মূল টার্গেট
বিএনপি নের্তৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট নেতা খালেদা জিয়ার শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলন নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। একই সঙ্গে বিশ্লেষকরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন এ সংবাদ সম্মেলনের কারণ। কেননা শুক্রবারের এ সংবাদ সম্মেলনে জোট নেতা নতুন করে কিছুই বলেননি। তিনি পুরানো কথায় নতুন করে বলেছেন।
বিশ্লেষকদের ধারণা, আন্দোলনকে নতুন বেগ দিতে চান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এজন্য তিনি শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করেন। মূলত নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে টানা ৭০ দিন নিজ কার্যালয়ে অবস্থান করার পর খালেদা জিয়া এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের আগে ধারণা করা হয়েছিল তিনি হয়তো সরকারকে আবারো আল্টিমেটাম দেবেন অথবা কর্মসূচি কিছুটা শিথিল করবেন। কিন্তু, তিনি সেদিকে যাননি।
বিশ্লেষকরা বলেন, টানা দুমাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি। আন্দোলনের দীর্ঘসুত্রিতার কারণে রাজধানী ইতোমধ্যে স্বাভাবিক হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে বাইরের যোগাযোগও স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গত রাত থেকে নৈশ কোচ চলাচল শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় বিএনপির কর্মসূচি অকার্যকর হয়ে পড়ার পথে।
এরপরও সংবাদ সম্মেলনে তিনি চলমান হরতাল অবরোধ কর্মসূচি অব্যহত রাখতে নেতাকর্মীদের নিদের্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীদেরকে চাঙ্গা হতেও নির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে দেয়া গত এক বছরের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন তিনি।
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারি জাগোনিউজকে বলেন, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলন গুরুত্ব পেয়েছে। এর আগে দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এসব বলা হলেও বেগম জিয়া নতুন করে বলায় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হবেন এমনটাই স্বাভাবিক। তবে বেগম জিয়া কিছুটা নমনীয় বলেও বিশিষ্ট এই অধ্যাপকের পর্যালোচনায় ওঠে এসেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতাকর্মীরা যেসব কথা বলে আসছিল সে কথায় সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন খালেদা জিয়া। তবে দলের প্রধান হিসেবে এ কথা বলার প্রয়োজন আছে এমনটি ভেবেই হয়তো তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এছাড়া তার এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে জনগণের আশা- আকাঙ্খার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি।
এমএম,এসএ/এএইচ/পিআর/এমএএস