নগরবাসীর দুই যন্ত্রণা : মশার উপদ্রব ও গ্যাস সংকট
রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রহমত আলী কিছুদিন আগেও অফিস থেকে ফিরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গল্পগুজব করে সময় কাটাতেন। সম্প্রতি দুই যন্ত্রণার কারণে তার স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দপতন ঘটেছে। যন্ত্রণার একটি হলো চুলায় গ্যাস না থাকা। তবে যতটুকু গ্যাস আসে তাতে এক কাপ পানি গরম করতে ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যায়।
ফলে গত কয়েকদিন ধরে স্ত্রীকে গভীর রাত পর্য়ন্ত জেগে গ্যাসের অপেক্ষায় থাকেন তিনি। যন্ত্রণার দ্বিতীয়টি হলো মশা।স্ত্রী যখন রান্না করেন তখন তাকে সঙ্গ দিতে রান্না ঘরের পাশে ডাইনিংয়ে বসে থাকেন। কিন্তু ইদানিং মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। মশা থেকে রক্ষা পেতে কয়েল জ্বালিয়েও মুক্তি মিলছে না। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা একটু আগেভাগে ঘুমালেও মশার কামড় খেয়ে মাঝরাতে কেঁদে জেগে উঠছে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে রহমত আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন রাত জেগে মশার কামড় খাওয়া আর রান্না করা বাসি খাবার নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুই সংকট নিরসনে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনের কোন কার্য়কর উদ্যোগ চোখে পড়ছেনা বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্যাসের সংকট ও মশার উপদ্রবের শিকার শুধুমাত্র আজিমপুরের বাসিন্দা রহমত আলীই নয়, পুরো নগরবাসীই এ দুই যন্ত্রণায় চরমভাবে ভুগছেন।
রাজধানীর আশকোনা প্রেম বাগানের বাসিন্দা আরাফাত হোসেন বলেন, ভোর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত গ্যাস থাকে না বললেই চলে। মধ্য রাতে গ্যাস এলেও তাতে রান্না করা যায় না।
তিতাসের জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা গ্যাস সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযোগ আসছে। তাবে ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে পাইপে গ্যাস জমে যাওয়ায় চাপ কম থাকছে।
ইস্কাটনের বাসিন্দা মাহবুব হোসেন জানান, সন্ধ্যা নামতেই বাড়িঘরে ঝাঁকে ঝাঁকে মশা ঢুকছে।মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে কেউ কেউ মশারির মধ্যে বাচ্চাদের রাখতে বাধ্য হচ্ছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মশক নিবারণ দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, খুব শিগগিরই মশা নিয়ন্ত্রণে ক্র্যাশ কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে।
এমইউ/এএইচ/এমএস