কুয়াকাটায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী মেগাবিচ কার্নিভাল


প্রকাশিত: ০২:১৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

সাগরকন্যাখ্যাত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অপরূপ জায়গা কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী শুরু হচ্ছে মেগাবিচ কার্নিভাল-২০১৭। আগামী ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ কার্নিভালে প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকবে নানান আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা। থাকবে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, ভবিবল, ঘুড়ি ওড়ানো, দাড়িয়াবান্দা, ওয়াটার বাইক, এটিভি রাইডস, বোট বোয়িং, বিচ লাইটিং, ক্যাম্পফায়ার, কুয়াকাটা-সুন্দরবন সি-ক্রুজিংসহ নানা আয়োজন।

এ উপলক্ষে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) কুয়াকাটা বিচ কার্নিভাল-২০১৭ কাউন্ট ডাউন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এটি উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এই কার্নিভালের আয়োজন করে।

দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, রাখাইন সম্প্রদায়ের বৈচিত্রময় জীবনাচার, ঐতিহাসিক ‘কুয়া’, প্রাচীন আমলের নৌকা, বৌদ্ধমন্দির ও শতমুর্তির হিন্দু মন্দির ইত্যাদি বিষয়ে পরিচিত করার জন্যই এই কার্নিভালের আয়োজন।  

উদ্বোধনকালে রাশেদ খান মেনন বলেন, এখন আমরা আকাশ, জল ও স্থলপথসহ সব পথে কুয়াকাটায় সহজে পৌঁছে যেতে পারি। শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রেই নয় কুয়াকাটায় আরো কিছু এলিমেন্ট যুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের একটি অংশ কুয়াকাটায় পড়েছে। কুয়াকাটা থেকে ২০ থেকে ৩০ মিনিটে সুন্দরবন যেতে পারি। একই সঙ্গে সুরারচর নামে একটি চর আছে। যেখানে বসতি অল্পই রয়েছে। এই চরে বিপুল পরিমাণ বন্যপ্রাণী বিচরণ করছে। আমরা শিগগিরই চেষ্টা করব সেখানে একটি অভয়ারণ্য তৈরি করতে।

মন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনাগুলো কার্যকর হতে পারে তখনই যখন সেখানে পর্যটকরা যাবেন। এজন্য ট্যুরিজম বোর্ড কার্নিভালের আয়োজন করেছে। তিনি বলেন, আশা করি সকল দল মতের মানুষ এই কার্নিভালে অংশ নিয়ে উদযাপন করবেন। তিনি বলেন, শুধু দেশের মানুষ নয় দেশের বাইরের লোকজনও সেখানে আসবেন।  

মেনন বলেন, এই বিচটি সম্পর্কে আগে খুব বেশি জানা শোনা ছিল না। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সেই সময়ে অনেক কষ্ট করে তিনি একরাত কুয়াকাটায় অবস্থান করে এই সাগরকন্যা কুয়াকাটাকে উন্নীত করার জন্য আন্তজার্তিক পর্যটন কেন্দ্রে রূপ দেয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই ভিত্তিতে পরবর্তীতে সেখানে পর্যটনের যে মোটেল ছিল সেটি বাড়িয়ে একটি আধুনিক মোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান অপরুপ চৌধুরী, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ  ট্যুরিজম বোর্ডর উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আকতার  আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এসএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।