সবার দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জে


প্রকাশিত: ০৭:৩৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন বন্দর নগরী নারায়ণগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দিকে। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মতো দেশবাসীর মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। তবে নির্বাচন ঘিরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে জনমনে।

রাজধানী ঢাকার পাশেই এই নির্বাচনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোও। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী পক্ষ বিএনপি এ নির্বাচনকে বিশেষ চ্যালেঞ্জের মধ্য থেকেই বিবেচনা করছে বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।

জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দুটি প্রধান দলই তাদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের পাশাপাশি শক্তির মহড়াও দেখাতে চাইছে। প্রচার-প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়ে অন্তত তাই বুঝিয়েছেন।

অন্যদিকে স্থানীয় রাজনীতির কারণেও নাসিক নির্বাচন দেশবাসীর কাছে বিশেষ অর্থ বহন করছে। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নেতা সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব থেকেই এ নির্বাচন নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি বলে জানা গেছে। নির্বাচনের দিন শামীম ওসমানের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনার যেন শেষ নেই। অপরদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি কি ফলাফল আনতে পারে, তা দেখার জন্যও মানুষ অধীর অপেক্ষায়।     

আগামী ২২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে নারায়ণগঞ্জ শহর। সিটি কর্পোরেশনের বাইরেও পুলিশের তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে।

র‌্যাব-পুলিশ ছাড়াও নির্বাচনে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে নারায়ণগঞ্জে। এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার ৬০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন। ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।

মঙ্গলবার থেকে ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে রয়েছে। প্রতিটি দলে রয়েছেন ১২ জন করে সদস্য। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিমও টহল দিচ্ছে আর প্রতিটি টিমের সদস্য সংখ্যা ১২ জন করে। এ ছাড়া ভোটের সময় শিল্প পুলিশের আরও ২০০ সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগ দেবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখানে ২৭টি ওয়ার্ডে ১৭৪টি কেন্দ্র রয়েছে। ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪টি। মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এএসএস/এআরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।