সংখ্যালঘুদের নিয়ে আইভী শিবিরে আশার প্রদীপ


প্রকাশিত: ০৮:১০ এএম, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের একচেটিয়া ভোট পাবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। এমনই আশার প্রদীপ দেখা যাচ্ছে আইভী শিবিরে। পাশাপাশি সুশীল ও প্রগতিশীলদের ভোটও তিনি পাবেন বলে তারা আশাবাদী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনও বলছেন, ‘আমরা আইভী দিদিকেই নিরাপদ মনে করছি।’

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নাসিক নির্বাচনে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২। এর মধ্যে সংখ্যালঘুদের ভোট ৮৯ হাজার।

নাসিক নির্বাচনে মেয়র হিসেবে বিজয়ী হওয়ার জন্য বিএনপির মেয়র প্রার্থী, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীসহ সব মেয়র প্রার্থী এখন শেষ মুহূর্তেও ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংখ্যালঘুরা নাসিক নির্বাচনে বড় ধরনের ফ্যাক্টর হতে পাড়ে, তা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে দলটির সভাপতির কার্যালয়ে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের অবহিত করেন আইভী।

পাশাপাশি বিগত দিনগুলোতে আইভী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দেখভাল করেছেন বলে প্রচারণার শেষ দিন মঙ্গলবার সকালে দাবি করেছেন চাষাঢ়া রামকৃষ্ণ মিশনে আসা প্রবীর সরকার নামের এক ভক্ত।

চাষাঢ়ার স্থায়ী এ বাসিন্দা জাগো নিউজকে বলেন, নারায়ণগঞ্জের শুধু সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নয়, সব প্রগতিশীল মানুষের প্রিয় ব্যক্তিত্ব আইভী আপা। আশা করছি আইভী আপাকে সব সম্প্রদায়ের লোক ভোট দেবেন। একই কথা বললেন টানবাজারের নরসুন্দর কমল শীল। তিনি বলেন, ‘আমরা আইভী দিদিকেই নিরাপদ মনে করছি।’

এর আগেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন নৌকা মার্কায় যেন সংখ্যালঘুদের ভোট নিশ্চিত করা যায়। আর এই ক্ষেত্রে সংসদের বাইরে থাকা সংখ্যালঘু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, অঙ্গ সংগঠনের নেতাসহ আওয়ামীপন্থী সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ মহানগরে এসে গণসংযোগ করেছেন। ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও সুশীল সম্প্রদায়ের ভোট পেতে বেগ পেতে হবে না আইভীকে।

এসএম/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।