আইন অনুযায়ী খালেদাকে গ্রেফতার করা হবে : স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার না করার ব্যাপারে কোনো ধরনের বিদেশি চাপ নেই উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রচলিত আইনে ও আদালতের নির্দেশে তাকে (খালেদা জিয়া) গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং প্রয়োজনে আইন অনুযায়ীই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশি চাপের মুখে নতি স্বীকার করেন না। বেগম খালেদা জিয়াও আইনের ঊর্ধ্বে নন। গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেছেন। আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে আশাতীত অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের সাথে অনেক লোক জড়িত বলে তদন্তে প্রতীয়মান হচ্ছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফারাবী ছাড়াও আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরো সন্দেহভাজনদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। শিগগরিই তারা ধরা পড়বে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। শিগগিরই মূল আসামিরা ধরা পড়বে এবং রহস্যও উদঘাটন করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে একজন যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছেন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেও হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করি ক্লু পাওয়া যাবে।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ তা বলা যাবে না দাবি করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় সে দেশের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) তদন্তের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমাদের এনএসআই সদস্যরা যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাজ করেন তেমনিভাবে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসে এফবিআই’র একটি ইউনিট কাজ করে। এ কাজে তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে এসেছেন এফবিআই সদস্যরা। তারা শুধুমাত্র তদন্তে সহযোগিতা করবেন। এতে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার অযোগ্যতা বা ব্যর্থতার কিছুই নেই। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়েই এসেছেন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা শুধুমাত্র সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড ছাড়া প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডে আমি নিজেও মর্মাহত হয়েছি। আমিও এর বিচার চাই। আশা করি কম সময়ের মধ্যেই এর রহস্য বেরিয়ে আসবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আরএস/আরআই/এমএএস