আইসিসি`র বিচারক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বাংলাদেশ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) বিচারক নির্বাচনে প্রার্থিতা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রার্থিতা দেওয়া হলে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। আগামী জুনের ২৪ ও ২৫ তারিখে নেদারল্যান্ডেরহেগে অনুষ্ঠিত অ্যাসেম্বলি অব পার্টিস-এর বিশেষ সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মনোনয়ন আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ মার্চ।
এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা করছি এবং আমাদের প্রার্থী সাবেক বিচারপতি এবিএম খাইরুল হক। তিনি একজন যোগ্য প্রার্থী এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিচারক হওয়ার সব যোগ্যতাই তার আছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, এ নির্বাচনের জন্য প্রচুর প্রচারণা কার্যক্রম চালাতে হয়। এখানে ১২৩ ভোটার। একজন বিচারককে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেতে হবে।
কর্মকর্তাটি আরো জানান, গত বছর ডিসেম্বর মাসে নিউইয়র্কে ছয় জন বিচারক নির্বাচিত হন এবং এর জন্য ২২ রাউন্ড ভোট গ্রহণ করতে হয়েছিল। গত বছর ফিলিপিনো বিচারক মিরিয়াম ডিফেন্সর সান্টিয়াগো পদত্যাগ করায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নতুন বিচারক ছয় বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। সান্টিয়াগো ২০১১ সালের ডিসেম্বরে নয় বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তিন বছর কাজ করেছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মোট ১৮ জনবিচারক আছেন। খাইরুল হক বর্তমানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন এবং লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল পাস করেন ১৯৭৫ সালে। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১১ সালের মে`তে অবসরে যান।
তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মামলার রায় হচ্ছে- রাষ্ট্র বনাম লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, পঞ্চমসংশোধনী মামলা, সপ্তম সংশোধনী মামলা এবং ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলা।
আরএস/পিআর