উদীচী হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর, ঘাতকরা ধরাছোঁয়ার বাইরে
যশোরের উদীচী হত্যাকাণ্ডের ১৬তম বার্ষিকী আজ (৬ মার্চ)। ১৯৯৯ সালের এই দিনে, যশোর টাউন হল মাঠে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের শেষ দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরপর দুটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হয় ১০ জন। এতে আহত হয় আড়াই শতাধিক নিরীহ মানুষ।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পার হলেও বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি মূল ঘাতকদের। এমনকি, কারা এই জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছিল, তা-ও উদ্ঘাটিত হয়নি।
১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ রাতে যশোর টাউন হল মাঠে চলছিল উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠান। হাজারো দর্শক-শ্রোতা গান শুনছিলেন। হঠাৎ পরপর দুটি গগণবিদারি শব্দ। তারপর সারা মাঠজুড়ে আহাজারি আর কান্নার রোল। রক্তে ভেসে যায় টাউন হল মাঠের সবুজ ঘাসে ঢাকা চত্বর। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মানুষের রক্তাক্ত দেহ।
সিআইডির ত্রুটিপূর্ণ চার্জশিটের কারণে ২০০৬ সালের ৩০ মে আদালত থেকে খালাস পেয়ে যায় এই মামলার সব আসামি। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয় বটে; তবে তা-ও আটকে পড়ে আইনের বেড়াজালে। বিচারের এই দীর্ঘ বিড়ম্বনায়, মামলাটি দ্রুত চালু করার দাবি ক্ষুব্ধ যশোরবাসীর।
দেশে বোমা হামলার কালো অধ্যায় শুরু হয় যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মধ্য দিয়েই। অথচ সেই ঘটনাটিরই আজও বিচার হয়নি। জীবদ্দশায় নিহতদের স্বজনরা প্রিয়জনের হত্যার বিচার দেখে যেতে পারবেন কি না- তা নিয়েও তারা সন্দিহান।
তবে সরকারপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম পিন্টু আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই মামলাটির কার্যক্রম শুরু হবে। মামলাটি এখন উচ্চ আদালতে। ২৩ আসামির মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। বাকিরা জামিনে রয়েছেন। এভাবে পার হয়ে গেছে ১৬টি বছর।
দিবসটি পালন উপলক্ষে উদীচী যশোর শুক্রবার সকালে রক্তদান কর্মসূচি, শোক শোভাযাত্রা ও সন্ধ্যায় টাউন হল মাঠে আলোক প্রজ্জ্বলন করবে।
এসআরজে