চা আমদানি নিরুৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়াতে হবে


প্রকাশিত: ১০:৫৮ এএম, ০৫ মার্চ ২০১৫

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চা আমদানি নিরুৎসাহিত করে উৎপাদন বাড়াতে হবে। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মাটি উন্নত মানের চা উৎপাদনের জন্য বেশ উপযোগী। সেখানে চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকার কাওরান বাজারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সম্মেলন কেন্দ্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ড আয়োজিত `উন্নয়নের পথনকশা : বাংলাদেশের চা শিল্প` শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭০ সালে ৪২ হাজার ৬৩৭ হেক্টর জমিতে ৩১ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হতো। ২০১৩ সালের হিসাব মতে ৫৮ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে ৬৬ দশমিক ২৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে, বর্তমানে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ৬৪ মিলিয়ন কেজি। এ সময় ১৩৩ দশমিক ৪ মিলিয়ন টাকা মূল্যের দশমিক ৫৪ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করা হয়েছে। দেশে চা ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ এবং রফতানি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়নের জন্য কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা- ভিশন ২০২৫ বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশে আরো ৪ হাজার ৬৯৮ হেক্টর অনাবাদি জমিতে ১২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা সম্ভব। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশের চাহিদা পূরণ করে বিপুল পরিমাণ  উন্নত মানের চা বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। এ জন্য চা শিল্পের উন্নয়নে সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এনায়েত উল্লাহ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ. টি. এম. মুর্তজা রেজা চৌধুরী এবং অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. শওকত আলী ওয়ারেছী। এ কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চা উৎপাদনকারী এবং চা ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত থেকে মতামত প্রদান করেন।

এসএ/বিএ/আরআই
    

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।