পপি’র অপেক্ষা
দর্শকদের সামনে আসার জন্য পপির অপেক্ষার অবসান যেন ঘটতেই চাইছে না। সর্বশেষ কবে পপি দর্শকদের সামনে এসেছেন সেটা নিজেও মনে করতে পারবেন না। তার অভিনীত বেশক’টি ছবি মুক্তির মিছিলে। কাজ শেষ হয়ে আছে কয়েকটি ছবির। সেন্সরবোর্ডে আটকেও আছে ৩টি ছবি। সব মিলিয়েই পপিকে এখন প্রতিদিনই অপেক্ষার মধ্যে থাকতে হচ্ছে, কবে তার ছবি মুক্তি পাবে, কবে দর্শকদের সামনে আসবেন।
পপি অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘গার্মেন্টস কন্যা’। জি সরকার পরিচালিত এই ছবিটি ব্যবসা সফল হলেও এরপর পপি অভিনীত কোন ছবি মুক্তি পেয়েছে বলে চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীরা মনে করতে পারছেন না। কারণ সত্যিকার অর্থেই পপি অভিনীত আর কোন ছবি মুক্তি পায়নি। তবে পপির হাতে রয়েছে কাজী হায়াৎ-এর ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’, নারগিস আক্তারের ‘পৌষ মাসের পিরিতি’, ‘শটকাটে বড় লোক’, জাহিদ হোসেনের ‘লীলামন্থন’, কামরুজ্জামান রতনের ‘আদরের ভাই’, কামরুজ্জামান কামুর ‘দি ডিরেক্টর’, জাকির খানের ‘চার অক্ষরের ভালবাসা’ এবং সালমান হায়দারের ‘দেহ’। এর মধ্যে ‘পৌষ মাসের পিরিতি’ এবং ‘শটকাটে বড় লোক’-এর কাজ অনেক আগেই শেষ করেছেন পপি। কিন্তু ছবি দু’টি কেন মুক্তি পাচ্ছে না সেটা পপি নিজেও জানেন না। ছাড়পত্রের জন্য সেন্সরবোর্ডে আটকে আছে-‘আদরের ভাই’, ‘লীলামন্থন’ এবং ‘ডিরেক্ট’র। কবে ছবিগুলো ছাড়পত্র পাবে সেটা প্রযোজক-পরিচালকও জানেন না। ‘বিয়ে হলো বাসর হলো না’ মুক্তি মুক্তি করেও মুক্তি পাচ্ছে না। ‘দেহ’ নাম নিয়ে টানাটানি হলেও পরিচালক সালমান হায়দার এখন পর্যন্ত ছবির কাজ শুরু করতে পারেননি। পপি বলেন, সবকিছুই আটকে রয়েছে। কোথায় যেন একটা প্যাঁচ লেগে রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই ছবির অফার আসে। তবে তাদের বাজেটের কথা শুনে অফার গ্রহণ করতে আগ্রহ থাকে না। যে বাজেটে তারা ছবি নির্মাণের কথা বলেন, সেই বাজেটে একটি ভাল সিনেমা কি করে হয় আমার মাথায় আসে না। আবার তাদের কাছে আমাদের জন্য তেমন কোন বাজেট থাকে না। শিল্পীর জন্য বাজেট নাই, তাহলে সেই সব ছবিতে শিল্পীরা কাজ করবেন কেমন করে? পপি বলেন, যা দেখছি, যা শুনছি, তাতে করে মনে হচ্ছে ভাল বাজেট না থাকলে ভাল ছবি নির্মাণ করা যাবে না। আর আমি ওই ধরনের কম বাজেটের ছবিতে কাজ করতেও চাই না। সুদিনের অপেক্ষায় আছি। সুদিন একদিন আসবেই। সিনেমা শিল্পকে বাঁচাতে হলে ভাল বাজেটে, ভাল শিল্পী নিয়ে ভাল মানের ছবি নির্মাণ করতে হবে। ভাল ছবির জন্য অপেক্ষায় থাকতে আমার কোন সমস্যা নেই।