নগরজুড়ে গ্যাসের তীব্র সংকট


প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

রাজধানী জুড়ে দেখা দিয়েছে গ্যাসের তীব্র সংকট। শীত জেঁকে বসতে না বসতেই নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় গ্যাস সংকটে সমস্যা হচ্ছে নিত্যদিনের রান্নায়। অধিকাংশ এলাকায় সকাল থেকে বিকেল অবধি গ্যাসের চাপ নেই বললেই চলে। ফলে বাধ্য হয়ে রাতে অথবা কাকডাকা ভোরে দিনের রান্নার কাজ শেষ করছেন গৃহিণীরা।

কোনো দুর্ঘটনা বা বিপত্তির জন্য ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রয়েছে। জানা গেছে, গত কয়েকদিনে জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে যতগুলো অভিযোগ এসেছে তার শতকরা ৭০ ভাগই গ্যাসের অস্বাভাবিক সরবরাহ সংক্রান্ত।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) ছুটির দিনে উত্তরা ও গুলশানের জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে মোট ১০টি টেলিফোনে অভিযোগের ৭টিই ছিল গ্যাসের অপ্রতুল সরবরাহ সংক্রান্ত। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় সংসদ ভবনের কেন্টিনেও গ্যাস সরবরাহ নেই বলে অভিযোগ এসেছে।

এছাড়া লালমাটিয়া, উত্তরা, ইব্রাহিমপুর, ডিওএইচএস, বসুন্ধরা, মিরপুর আলীবাগ, আশকোনা প্রেমবাগান, ধানমন্ডি, লালবাগ, আজিমপুর, কামরাঙ্গীরচরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের এ সংকট চলছে।

রাজধানী লালবাগের বাসিন্দা গৃহবধূ আমেনা বেগম গত দুই তিন দিন যাবত সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার রাতের বেলায় শেষ করে রাখছেন। তিনি বলেন, সকাল বেলা গ্যাসের গতি এতটাই কম থাকে দুই-চার কাপ চায়ের জন্য পানি ফুটাতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। তাই নিরুপায় হয়ে রাতের বেলা রান্নার কাজ শেষ করে রাখছি।

আশকোনা প্রেমবাগান এলাকার বাসিন্দা ওষুধ ব্যবসায়ী আরাফাত হোসেন জানান, এলাকায় গত তিন চারদিন যাবত গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। আমাদের যৌথ পরিবারের জন্য (২০ জন) ভোরের সূর্য উঠার আগেই রান্না সেরে ফেলতে হয়।

গ্যাসের এ সংকট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উত্তরা ও গুলশান জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্তব্যরত রেডিও অপারেটর আনিসুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকা থেকে অধিকাংশ অভিযোগই গ্যাস স্বল্পতা সংক্রান্ত আসছে।’ তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলতে রাজি হননি।

তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিবছর শীতকালে গ্যাস লাইনের পাইপে বরফ জমে গ্যাসের সরবরাহের গতি কমে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ-বাখরাবাদ ও ঘোড়াশাল থেকে বছরের অন্যান্য সময়ে পাইপের মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলেও এ সময় তা সম্ভব হয় না।

এমইউ/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।