যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন অভিজিতের স্ত্রী বন্যা


প্রকাশিত: ১০:৫৯ এএম, ০৩ মার্চ ২০১৫

‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল ৭টার ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ছাড়েন।

সার্বিক নিরাপত্তায় উদ্বেগ ও শারীরিক চিকিৎসার উদ্দেশ্যে আমেরিকান দূতাবাসের উদ্যোগে রাফিদাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত স্বামী অভিজিৎ রায় ও রাফিদা দু`জনই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। নিহত হওয়ার পর গুরুতর আহত বন্যার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। এরই অংশ হিসেবে রাফিদাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিজিৎ রায়ের ছোট ভাই অজিত রায়ের স্ত্রী কেয়া বর্মণ। তিনি বলেন, রাফিদা আহমেদ বন্যার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে সে দেশের সরকার।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে অভিজিতের বাবা ও বন্যার শ্বশুর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ড. অজয় রায় জাগোনিউজকে বলেন, সন্ত্রাসী হামলায় ছেলে নিহত হয়েছেন। তাই তার পুত্রবধুও এদেশে আবারো উগ্রবাদীদের হামলার শিকার হোক তা তারা চান না।

রাফিদা আহমেদ বন্যার উন্নত চিকিৎসা জরুরি উল্লেখ করে তারা বলেন, নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে। তবে সবকিছুর আগে দরকার বউমার (বন্যার) চিকিৎসা। হাতের বৃদ্ধাঙ্গলী কেটে গেছে। অপারেশন করতে হবে।

তারা আরো বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে ছেলে অভিজিৎ হত্যার শিকার হওয়ায় আমেরিকা সোমবার রাতেই দেশে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ‘মুক্তমনা’ ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার ও লেখক প্রকৌশলী ড. অভিজিৎ রায় ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ৩নং গেটের সামনে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহতবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ১০টার দিকে মারা যান অভিজিৎ।

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত রাফিদা ঢামেক থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

জেইউ/আরএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।