বিদ্রোহে শাস্তি হবে আনসার সদস্যদেরও
বিদ্রোহের ক্ষেত্রে আনসার সদস্যদের জন্যও শাস্তির বিধান করতে যাচ্ছে সরকার। প্রচলতি সীমান্ত রক্ষী বাহিনী-বিজিবি আইনের আদলে এই শাস্তির পক্ষে সুপারিশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। সোমবার মন্ত্রী সভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ব্যাটালিয়ন, আনসার (সংশোধন) আইন-২০১৫’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।
বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এ কথা জানান। তিনি আরো জানান, আনসার সদস্যদের জন্য অপরাধে বিভাগীয় সাজা রয়েছে। তবে বিদ্রোহীদের জন্য কোন সাজা নির্ধারণ করা নেই। কিন্তু সেটি দরকার। তাই বিভাগীয় সাজার সঙ্গে বিদ্রোহের শাস্তি অন্তর্ভূক্ত করা হলো।
খসড়ায় ১৯৯৫ সালের মূল আইনের সঙ্গে দুটি পর্যবেক্ষণ যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো বাধ্যতামূলক অবসর এবং তিরস্কার।
খসড়ায় দুটি অনুশাসন যোগ করেছে মন্ত্রিপরিষদ। একটি হচ্ছে- বিদ্রোহীদের জন্য যথোপযুক্ত শাস্তির বিধান রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) আইনকে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
মোশাররাফ হোসাইন বলেন, আনসার দুই ধরনের- ব্যাটালিয়ন এবং অ্যামবোডিট। আগে নয় বছর চাকরির পর অ্যামবোডেট আনসারদের স্থায়ী করা হতো। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ মেয়াদ ছয় বছরে কমিয়ে আনার বিষয়টিও যোগ করেছে মন্ত্রিপরিষদ।
জানা গেছে, প্রচলিত বিজিবি আইনে বিদ্রোহের সাজা সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড। আগের বিডিআর আইনে সেটি ছিলো ৭ বছরের কারাদণ্ড।
এসএ/আরএস/আরআই