কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তহবিল


প্রকাশিত: ০৭:৪৭ এএম, ০২ মার্চ ২০১৫

কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকার সামাজিক উন্নয়নে তহবিল গঠন করবে সরকার। তহবিল গঠনের জন্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের দাম বাড়বে ৩ পয়সা করে। এ লক্ষ্যে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকার সামাজিক উন্নয়নে তহবিল গঠন ও পরিচালনা নীতিমালা ২০১৫’র খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা।

নীতিমালা অনুযায়ী, কয়লাভিত্তিক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ পয়সা বাড়তি নেবে কোম্পানি। এ অর্থ দিয়েই প্রকল্প এলাকার জন্য সামাজিক উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হবে।
 
সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা।
 
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রানুযায়ী ২০২১ সালে ২৪ হাজার ও ২০৩০ সালে ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে সরকার। এ বিদ্যুতের অর্ধেকই হবে কয়লা বিদ্যুৎ। যেসব এলাকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে, সেসব এলাকায় এ তহবিলের অর্থ স্থানীয় জনগণের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হবে।
 
এ তহবিল ব্যবহারের জন্য প্রতিটি এলাকায় কমিটি গঠন করা হবে। কমিটিতে কোম্পানি এবং জনপ্রতিনিধিরা থাকবেন। তারাই এ তহবিল পরিচালনা করবেন।
 
মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, তহবিলে এ অর্থের যোগান দেবে কোম্পানি। এ জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি কিলোওয়াটের জন্য অতিরিক্ত তিন পয়সা ট্যারিফ নির্ধারণ করা হবে।
 
এছাড়াও মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন আইন ২০১৫’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা।
 
তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের সামরিক শাসনের সময়কালের অধ্যাদেশটি বাংলায় অনুবাদের বাধ্যবাধকতা ছিল। মূল আইনে অনুমোদিত মূলধন ছিল এক কোটি টাকা। সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে তা বাড়িয়ে পাঁচ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
 
আগের অধ্যাদেশ অনুযায়ী একজন চেয়ারম্যান এবং পাঁচজন সার্বক্ষণিক ও দু’জন খণ্ডকালীন পরিচালক ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ পাঁচজনের স্থলে সাতজন সার্বক্ষণিক পরিচালকের পদ সৃষ্টির জন্য সুপারিশ করেছে।

এসএ/বিএ/পিআর

এসএ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।