ভূমি অফিস সংস্কারে আসছে বরাদ্দ


প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির বাংলাদেশে সীমিত ভূমি সবচেয়ে মূল্যবান। সামনের দিনগুলোতে নগরায়ন ও শিল্পায়নের কারণে ভূমির ব্যবহার আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কিন্তু ভূমি রেকর্ড ব্যবস্থাপনা এখনও অনুন্নত ও বেশির ভাগ উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অবস্থাও জরাজীর্ণ এবং সংস্কারহীন। ৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে এই অফিসগুলোকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটিসহ মোট ১ হাজার ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ছ’টি প্রকল্প আগামী মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদন দেয়া হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

 ভূমি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৫ সালের জুলাই থেকে ২০১২ সালে জুন পর্যন্ত সময়ে মোট পাঁচটি পর্যায়ে সারাদেশে মোট ৩৪৫টি উপজেলার ১ হাজার ১৪টি ইউনিয়নে ভূমি অফিস নির্মান কাজ শেষ করা হয়েছে। এখন সাত বিভাগের ৬১টি জেলার ১৩৯টি উপজেলার ৫শ’টি ইউনিয়নে ভূমি অফিস নেই। এইগুলো নির্মাণের জন্য ৫৯৬ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্প প্রস্তাবনা কমিশনের কাছে পেশ করা হয়। কমিশনের পিইসি সভায় ব্যয় কমিয়ে ৯৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকায় সুপারিশ করা হয়। এখানে ভূমি পর্যবেক্ষণ ও ডিজিটাল সার্ভে ৬৩৯টিতে এবং ৪তলা ভিত্তি বিশিষ্ট একতলা ভবণ নির্মাণ হবে ১৩৯টিতে। দ্বিতল ভিত্তি বিশিষ্ট একতলা ভবন এবং উপকূলীয় এলাকার জন্য তিনতলা ভিত্তি বিশিষ্ট দ্বিতলা ভবন নির্মাণ হবে ৫শ’টি তে। প্রতিটিতে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হবে।

এদিকে, পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি থেকে সমাপ্ত পঞ্চম পর্যায়ের প্রকল্পের মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাতে আইএমইডি বলছে, নির্মাণ কাজে তদারকির অভাব, কাজ অসমাপ্ত রাখা, দেয়ালে ফাটল, ডিজাইনে ত্রুটি ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে। পর্যবেক্ষণে দায়সারা নির্মাণে দায়িদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়কে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। কিন্তু দায়ীদের বিরুদ্ধে কি ধরণের আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা চেক লিষ্টে কোনো উল্লেখ নেই।

প্রকল্পটি ছাড়াও যে পাঁচটি প্রকল্প মঙ্গলবার একনেকে উপস্থাপন করা হবে সেগুলো হলো- ১২৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শেরেবাংলা নগরে বিনিয়োগ বোর্ডের প্রধান কার্যালয় নির্মাণ (সংশোধন), ২২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি জাতীয় মহাসড়কের চট্টগ্রাম-হাটহাজারী অংশ ডিভাইডারসহ প্রশস্তকরণ (সংশোধিত), ৫৩৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ, ২৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ, ৩৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-২ এর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার জন্য ৩৩/১১ কেভি ইলেকট্রিক্যাল সাব-ষ্টেশন সরবরাহ ও স্থাপন এবং ৪১ কোটি ৮৩লাখ টাকা ব্যয়ে বিকেএসপির ক্রীড়া সুবিধাবলীর আধুনিকায়ণ প্রকল্প।

আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।