দক্ষ হাতে হত্যা : ময়নাতদন্তের রিপোর্ট


প্রকাশিত: ১০:২০ এএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

ব্লগার অভিজিৎ রায়ের মাথার ডান পাশে `অত্যন্ত দক্ষ হাতে হিংস্রভাবে` ধারাল অস্ত্রের তিনটি কোপ দিলে  অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। এর আগে অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস, অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ এবং ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকেও একই কায়দায় হত্যা করা হয় বলে  পুলিশের তদন্তে থেকে জানা গেছে।

শুক্রবার অভিজিতের লাশের ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ বলেন, অভিজিত রায়ের মাথার পেছন দিকে ডান পাশে তিনটি গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল, যেগুলো করা হয়েছে চাপাতির মতো কোনো ধারাল অস্ত্র দিয়ে। একটি আঘাত থেকে আরেকটি আঘাতের দূরত্ব আধা ইঞ্চি; সবগুলোই সমান্তরাল। ওই আঘাত এতই মারাত্মক ছিল যে চামড়া ও হাড় কেটে একবারে মগজে পৌঁছেছে। এ ছাড়া পিঠে ও বাঁ চোখের ভ্রুর কাছে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মূলত মাথার পেছনে তিনটি আঘাতের প্রচণ্ডতা ও অতিরিক্ত রক্তক্ষণেই অভিজিতের মৃত্যু হয়েছে বলে এই চিকিৎসকের ধারণা।

তিনি আরও বলেন, এটি খুব দক্ষ হাতের কাজ। কোথায় মারলে মানুষ মারা যায়, সেটা হামলাকারীরা জানে। তারা অত্যন্ত দক্ষ ও হিংস্র ছিল। তিনটি আঘাত করেছে আধা ইঞ্চি ব্যবধানে, একটি আরেকটিও ওপর পড়েনি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের উল্টো দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন সড়কে হামলার শিকার হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী প্রকৌশলী অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা।ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় অভিজিতের। গুরুতর অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন রাফিদা আহমেদ বন্যা।

এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।