সরকার গণমাধ্যমকে বিটিভি বানাতে চায়


প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৪

সরকার গণমাধ্যমকে বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতার বানাতেই নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালা করছেন বলে দাবি করেছেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিরা। তারা বলেন, বিটিভিকে, বাংলাদেশ বেতারকে কেউ বিশ্বাস করে না। যে সরকার বিটিভি ও বেতারকে জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারে না। তারা কিভাবে সম্প্রচার নীতিমালা করে জনগণকে গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্বাস করাবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘নিয়ন্ত্রণমূলক সম্প্রচার নীতিমালা জনগণ মানবে না’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।’

আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, ‘পৃথিবীর সব সরকার মিথ্যা বলে। সত্য লুকাতে চায়। সাংবাদিকদের কাজই হল তা প্রকাশ করা। ছিদ্রান্বেষণ করা।’

তিনি বলেন, ‘বিটিভিকে, বাংলাদেশ বেতারকে কেউ বিশ্বাস করে না। যে সকার বিটিভি ও বেতারকে জনগণকে বিশ্বাস করাতে পারে না। তারা কিভাবে সম্প্রচার নীতিমালা করে জনগণকে গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্বাস করাবে।’

সাংবাদিক মুহম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নীতিমালা গণমাধ্যমের সংজ্ঞায় নেই। বর্তমান সরকার প্রণীত গণমাধ্যম নীতিমালা রাজনৈতিক। এসেছে গণমাধ্যমের মোড়কে। ভাগ্যিস ৭৫ সালে ২৫টি টেলিভিশন ছিল না। থাকলে আরও বেশি সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হতো।’

তিনি বলেন, ‘৫ জানুয়ারির পর সরকার অস্বস্তিতে রয়েছে। নকল করে পাস করার পর যে অবস্থা হয় আর কি। সরকার কতটা অস্বস্তিতে রয়েছে যে ব্রিটিশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পছন্দের অংশটুকু তারা প্রকাশ করে। আর এই সরকারকে সবচেয়ে বেকায়দায় রেখেছে গণমাধ্যম।’

জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার আশঙ্কা অল্প কিছুদিনের মধ্যে দু-একটি পত্রিকার বিরুদ্ধে খড়গ নেমে আসবে। যদিও তা চাই না। সরকার ২৫টি টেলিভিশনকে বিটিভি করতে চায়। সরকার বিটিভির সংবাদ সম্প্রচার করতে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে বাধ্য করছে তার পরও তারা গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।