খোঁজ মেলেনি লঞ্চের, ৪৩ লাশ উদ্ধার
গত সোমবার মুন্সিগঞ্জের পদ্মায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ‘পিনাক-৬’ ডুবে যাওয়ার পর থেকে প্রায় হাফ ডজনবার মাওয়া ঘাটে এসেছেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি আসার পর অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বৈঠকের পর যথারীতি উদ্ধার হওয়া লাশের পরিসংখ্যান দেন। কিন্তু, শতাধিক নিখোঁজ যাত্রী উদ্ধার হওয়ার মতো আশার কোনো বাণী শোনাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মাওয়া ঘাটের অদূরে পদ্মা রেস্ট হাউজে অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শুক্রবার বিকেলেও বৈঠক করেন নৌ পরিবহনমন্ত্রী।
বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অনুসন্ধান সংশ্লিষ্টরা সন্তুষ্ট না হওয়া পর্যন্ত অনুসন্ধান চালিয়ে যাবেন। তবে, সুনির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ করেননি মন্ত্রী।
নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান আরও জানান, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট ৪১ মৃতদেহের খোঁজ মিলেছে। এর মধ্যে ৩৯টি মৃতদেহ পানিতে ভেসে উঠার পর স্থানীয় জনগণ ও সরকারি অনুসন্ধানকারীরা সংগ্রহ করেছেন। ২ জন উদ্ধার হওয়ার পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১০৯ জন। মৃতদেহ শনাক্ত করে হস্তান্তর করা হয়েছে ২৪টি। পরিচয় না পাওয়া ১৫টি মৃতদেহের মধ্যে ১২টির ডিএনএ স্যাম্পল রেখে দাফন করা হয়েছে। পরিচয়হীন আরও পাঁচটি মৃতদেহ কন্ট্রোল রুমে এসে পৌঁছায়নি।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে অনুসন্ধান চলছে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, ‘মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমান অনুসন্ধানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে ‘পিনাক-৬’ উদ্ধারের জন্যও সেই প্রযুক্তি দিয়ে কাজ চলছে। আশা করি ইতিবাচক ফল পাবো।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহনমন্ত্রী আরও জানান, ‘আমরা সব ধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, হোমিওপ্যাথি, এলোপ্যাথি, কবিরাজি যেখানে যে চিকিৎসা দরকার সেখানে তাই দিচ্ছি। তারপরও কোনো খোজঁ মিলছে না ডুবে যাওয়া লঞ্চটির। নৌ-বাহিনী, চট্টগ্রাম বন্দর ও বিআইডব্লিউটিএ’র অভিজ্ঞ অনুসন্ধানকারীরা সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও মোট ৫টি জাহাজ অনুসন্ধান কাজে নিয়োজিত আছে।’
মন্ত্রী আরও জানান, মাওয়ায় লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে ২০ বছর আগে (প্রকৃত ২২ বছর)। এখানে লঞ্চ দুর্ঘটনার ঘটনা এই প্রথম।