আরও ৩১ মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল


প্রকাশিত: ০৪:৫৭ এএম, ০৭ আগস্ট ২০১৪

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক, চিকিৎসক, প্রকৌশলীসহ ৩১ জন সরকারি কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার এ-সংক্রান্ত নথিপত্র অনুমোদন করেছে মন্ত্রণালয়। দু-এক দিনের মধ্যে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আরও প্রায় ১০০ কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রত্যয়ন চেয়েছেন। তাদের আবেদন নাকচ করা হয়েছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কমিটির ওয়েবসাইটে জমা আছে এমন এক লাখ দুই হাজার ৫০১টি আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া কমিটি উন্মুক্ত পদ্ধতিতে সবার সামনে অবেদনপত্র যাচাই করবে।

যাদের সনদ বাতিল-
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (এপিডি উইংয়ে ন্যস্ত) এম মাহবুব উল আলম, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আবদুল হামিদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ও প্রকল্প পরিচালক এস এম সেলিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইদুর রহমান, সড়ক ও জনপথের উপসহকারী প্রকৌশলী কে এম আবুল হোসেন। বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের পরিচালক এ কে এম আতাউল ইসলাম, যশোরের চিকিৎসক মৃণাল কান্তি মিত্র (স্থান উল্লেখ নেই), কাস্টম হাউসের তিন রাজস্ব কর্মকর্তা নাজমুল কবির, মোস্তাক আহমেদ, নিলুফা সুলতানা। গাজীপুরের কাপাসিয়া খাদ্যগুদামের খাদ্য পরিদর্শক আবদুল মালেক, নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবরক্ষক আবদুল মান্নান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান সহকারী খান সিরাজুল ইসলাম ও নিরাপত্তা পরিদর্শক ফয়েজ কবির।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এস এম আলাউদ্দিন, গাজীপুরের সাব-রেজিস্ট্রার তৌফিক এলাহী, মাদারীপুরের নরেরকান্দা রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবদুর রউফ, সাতক্ষীরার দক্ষিণ শাহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন মোড়ল, মান্দার সহকারী শিক্ষক আফাছ উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উপপরিদর্শক নিরঞ্জন কুমার রায়, বিএডিসির হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনীষা রঞ্জন রায়, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান, সিলেট জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের প্রধান সহকারী মো. মাসুদুল হক, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ও টালী করণিক আবদুল রউফ সরকার, চট্টগ্রামের ওয়ালী আহমেদ ও ঝিনাইদহের হাফিজুর রহমান।

টাঙ্গাইলের সরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমান, নওগাঁর বাদরঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খগেন্দ্র নাথ সাহা ও চট্টগ্রামের কর অঞ্চল-৩-এর সাঁটমুদ্রাক্ষরিক আলমগীর কবীর চৌধুরী (অবসর)।

এই নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৮২ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সনদ বাতিল করল মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।