পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে
পুরাতন ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের লাল দালানখ্যাত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এককালের মোগল দুর্গ, কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশন ও পরবর্তীতে জেলখানায় রূপান্তরিত ১১ একর আয়তনের এ কারাগারটির সাথে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও রাজনীতির বহু স্মৃতি জড়িয়ে আছে।
গত ২৯ জুলাই কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরের আগ পর্যন্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গড়ে সাত থেকে আট হাজার বন্দি হাজতি ও কয়েদি থাকতো। আর তাই কখনও যারা কারাগারে যাননি তাদের মধ্যে কারা অভ্যন্তরে কয়টি ভবন আছে, ভবনগুলোর কোনটিতে সাধারণ কয়েদি হাজতিরা থাকে, কোথায় ভিআইপিরা থাকে, কোথায় রন্ধনশালা, কোথায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসিতে ঝোলানো হতো ইত্যাদি জানার প্রবল আগ্রহ রয়েছে।
তাদের জন্য কারা অধিদফতর পরিত্যক্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পরিদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে। মাত্র ১০০ টাকায় টিকিট কিনে তারা দুই ঘণ্টা কারাগার পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন। সংগ্রামী জীবন গাঁথা শিরোনামে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার দুর্লভ আলোকচিত্র নিয়ে কারাগারের ভেতর প্রথম প্রদর্শনী উপলক্ষে তারা এ সুযোগ পাবেন। জার্নি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সংগৃহীত ৭৫টি আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে প্রদর্শিত হবে।
কারা অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১ নভেম্বর বিকেল ৩টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। ২ নভেম্বর থেকে সাধারণ মানুষ দিনে তিনবার (সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা, দুপুর ১টা থেকে ৩টা ও বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত) টিকিট কিনে দেখার সুযোগ পাবেন। টিকিট বিক্রির টাকা কারা অভ্যন্তরে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুদের খেলাধুলার সরঞ্জাম কেনায় খরচ হবে।
প্রদর্শনীতে সাধারণ মানুষ কারা অভ্যন্তরের সবটুকু ঘুরে দেখতে পারবেন নাকি শুধু প্রদর্শনী স্থানই ঘুরে দেখতে পারবেন- সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত তুলে ধরতে আজ কারা অধিদফতরের উদ্যোগে সকাল ১০টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বিস্তারিত তথ্যউপাত্ত তুলে ধরবেন।
জানা গেছে, আইজি প্রিজন সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, শিক্ষাবিদ ও চেয়ারম্যান (জার্নি) অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ভাইস চেয়ারম্যান (জার্নি) মাহফুজা খানম, জীবন গাঁথার কিউরেটর ও উপদেষ্টা (জার্নি) প্রফেসর এমিরেটাস ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এমইউ/এআরএস/পিআর