গুলিস্তানে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
রাজধানীর গুলিস্তানের সুন্দরবন মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ডে উচ্ছেদ অভিযানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
গুলিস্তান পাতাল মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মেয়র পক্ষের লোকজনদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। ইট পাটকেল নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটে। ইটের আঘাতে পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে মার্কেটের বিক্রেতারা উচ্ছেদ অভিযান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মার্কেটের ব্যবসায়ীরা নগরভবন ঘেরাও করে। পরে নগরভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ বাধে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটে প্রতি দোকানে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ সময় মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক বাধা দিলে তাকে আটক করা হয়।
পরে ব্যবসায়ীরা নগরভবন ঘেরাও করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিতে থাকেন। পরে মেয়র সাঈদ খোকনের নেতৃত্বে নগরভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং নিরাপত্তাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের বোঝাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ ৫/৬ রাউন্ড ফাকা গুলি ছোড়ে।
এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা হরতালের ডাক দেয় এবং গুলিস্তান এলাকায় অবস্থান নিয়ে গাড়ি ভাংচুর করে। তবে ব্যবসায়ীদের ডাকা হরতালের প্রতিবাদে হরতালবিরোধী লাঠি মিছিল বের করে শ্রমিক লীগ।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, অবৈধ স্থাপনা ও কার্যক্রম আর সহ্য করা হবে না।
সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, নগরভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের কর্মস্থলে ফিরেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত নগরভবনের কাজ-কর্ম বন্ধ ছিল।
এ ছাড়া সংক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা যেকোনো সময় নগরভবনে হামলা চালাতে পারে এমন আশঙ্কায় নগরভবনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গুলিস্তান এলাকায়ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেও ইটের আঘতে আহত হয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পুলিশ পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছ।
জেইউ/এনএফ/এবিএস