সংলাপ না হলে বিকল্প ভাবনা
দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ না হলে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে হবে বলে মত দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা। তিনি মনে করেন, দেশের অর্থনীতি প্রায়ই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাই এই সহিংসতা বন্ধ না হলে মানুষকে নতুন করতে ভাবতে হবে।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্বিগ্ন নাগরিকদের পক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে আজ এক অস্বাভাবিক পরিস্থিত বিরাজ করছে। এ অবস্থা থেকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট উত্তরনের মাধ্যমে জনগণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যেতে আগ্রহী। জনগণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চায়। তাই বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
তিনি বলেন, সরকার ও প্রতিপক্ষের মধ্যে কড়া বিরোধের কারনে জাতীয় অর্থনীতি ও জনজীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যাচ্ছে। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধ ও সংকট নিরসনে প্রয়োজন সংলাপ। তাই সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য প্রথমে সরকার ও সংবিধানের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতিকে বিশেষ ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
চলমান সংকট নিরসনে সংলাপের আহ্বান করা রাষ্ট্রপতির নৈতিক দায়িত্ব মন্তব্য করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধান ও রাষ্ট্রের অভিভাবক। তাই তিনি এই উদ্যোগ নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
একটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরাজমান সমস্যার দ্রুত সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নারী-শিশুসহ সব নির্দোষ মানুষকে অস্বাভাবিক মৃত্যু ও জ্বালাও পোড়ানোর হাত থেকে রক্ষা এবং ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
পরিবহন ব্যবস্থার দুর্গতির জন্য আজ গ্রামের কৃষক অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, শ্রমজীবী পেশাজীবী জনগণ পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছে এবং দারিদ্র্য বিমােচনের ক্ষেত্রে যেসব অগ্রগতি হয়েছে তা আবার নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী, ড. স্বাধীন মালিক, সুশাসনে জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার হাফিজুদ্দিন খান, ড. আহসান মনসুর প্রমূখ।
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলী খান, রাশেদা কে চৌধুরী, ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীসহ দেশের অরাজনৈতিক পেশাজীবীসহ আরো অনেকে উদ্বিগ্ন এসব নাগরিকে সঙ্গে রয়েছেন বলেও জানানো হয়।
এর আগে উদ্বিগ্ন এসব নাগরিকরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ২০ দলীয় জোট প্রধান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আনুষ্ঠানিক চিঠির মাধ্যমে সংলাপে বসার আহ্বান জানান।
এমএম/এআরএস/এমএস