প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা
হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের সঠিক তালিকা তৈরির জন্য তৃণমূলসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে।
এদেশে কোনো মানুষ যেন খাবারের কষ্টে না মারা যায় সে লক্ষ্যে তাদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রতিটি পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের সতর্ক দৃষ্টি রেখে তালিকা প্রণয়ন করতে হবে।
শনিবার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় রোড গার্ডেন হোটেল থেকে দলটির গঠন তথা সুদীর্ঘ ৬৭ বছরের আওয়ামী লীগের ইতিহাস, ঐহিত্য ও দলটির গণতান্ত্রিক চর্চা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে নিহত ও আহতসহ সব পর্যায়ের নেতাকর্মীর অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতায় দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন খাতওয়ারি যেমন- শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, কৃষি, যোগাযোগ, কূটনীতি, জলবায়ু, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান, তথ্যপ্রযুক্তি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ দমন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে গৃহীত পদক্ষেপের তথ্য উঠে আসে। অতীত ও বর্তমানের পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের চিন্তাভাবনার প্রতিফলন ঘটে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় দেশে দারিদ্র্যের হার শতকরা ৯৭ ভাগ থাকলেও বর্তমানে তা ২২ ভাগে নেমে এসেছে। হতদরিদ্রের শতকরা হার ১২ ভাগ। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার। তাই হতদরিদ্র, বয়োবৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের তার সরকার আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলে জানান।
তিনি বলেন, কর্মস্থলে ছেলে ও মেয়েরা সমান অধিকার নিয়ে কাজ করবে। বর্তমানে শতকরা ৭২ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে শতভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যুরোধসহ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে তার সরকার কাজ করছে। প্রায় এক লাখ মানুষকে বিনামূল্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নতুন নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে।
দেশের ভেতরে নৌ, সড়ক ও রেলপথের উন্নয়ন ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে আকাশপথেও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিস্তার ঘটছে।
এমইউ/বিএ/আরআইপি