পার্বত্য এলাকায় বিদেশিদের সফরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চিন্তা


প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলাদেশ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশিদের সফর এবং এনজিওদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নতুন কিছু বিধি নিষেধ আরোপের পরপরই তা প্রত্যাহারের চিন্তা করছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটার কথা স্বীকার করেছেন।

এই বিধি নিষেধের কথা জানাজানি হওয়ার পর, বেসরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা এবং পাহাড়িদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। রাঙামাটি শহরের পাশে কাপ্তাই লেক ঘেঁষে আবাসন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলায় নতুন কিছু বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছিল মাস খানেক আগে।

কিন্তু গত সপ্তাহে এই সিদ্ধান্ত লিখিতভাবে সেখানে কর্মরত বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলোসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলে সমালোচনা ওঠে।সেখানে পাহাড়িদের একটি সংগঠন নাগরিক কমিটির গৌতম দেওয়ান বলেছেন, বিধি-নিষেধগুলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির পরিপন্থী বলে তারা মনে করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১১টির মতো বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এরমধ্যে বিদেশীদের সফরের ওপর বিধি-নিষেধের বিষয়টি বেশি আলোচনায় এসেছে।

কোন বিদেশী পার্বত্য এলাকায় সফরে যেতে চাইলে, তাকে এক মাস আগে আবেদন করতে হবে।গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি মিললে, তখন ঐ বিদেশী স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সেখানে যেতে পারবেন। এছাড়া বিদেশীরা সফরে গিয়ে অথবা এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলো পাহাড়িদের সাথে কথা বললে, সে সময় স্থানীয় প্রশাসনের লোক থাকবে।

স্থানীয় এনজিওগুলোর অনেকে কর্মকাণ্ডের ওপরও বিভিন্ন বিধি-নিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন,পাহাড়ি বা কারও সাথে কথা বলায় সমস্যা নেই।কিন্তু সেটা প্রশাসনকে জানিয়ে করতে হবে।

বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা মিলে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশন নামের একটি সংগঠন করেছেন। সংগঠনটি পাহাড়িদের সমস্যা নিয়ে কাজ করছিল।

এই সংগঠনের সুলতানা কামাল বলেছেন, তারা চিঠি পেয়েছেন পার্বত্য এলাকায় তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার ব্যাপারে। সরকারের এমন পদক্ষেপে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সমালোচনার মুখে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত অনেকে পার্বত্য এলাকায় গিয়ে পাহাড়ি এবং রোহিঙ্গাদের নিয়ে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তগুলো তারা নিয়েছেন।

একইসাথে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশী যারা সেখানে উন্নয়নের কাজ করছে, তাদের দিক থেকে বিভিন্ন বক্তব্য তোলা হয়েছে। ফলে সিদ্ধান্তগুলো প্রত্যাহারের চিন্তা করা হচ্ছে। শিগগিরই বৈঠক করে প্রত্যাহারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সূত্র-বিবিসি

এমএএস/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।