পরিস্থিতি তৈরি হলেই এনকাউন্টার: ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশিত: ০৭:০৭ এএম, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

এনকাউন্টার কখনো ইচ্ছেকৃতভাবে ঘটে না। পরিস্থিতি তৈরি হলে এনকাউন্টারের মতো ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।

নাশকতাকারীদের আটকে সহায়তা প্রদানকারী চার নাগরিককে আর্থিক পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে বুধবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডস্থ ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

ক্রসফায়ারের ঘটনায় বিরোধী অনেক দলীয় নেতাকর্মী ও দুর্বৃত্তরা মারা গেছেন। আপনি কি মনে করেন এতে তথ্য প্রমাণ কিংবা জবানবন্দির ঘাটতিতে পড়বে পুলিশ? এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, নাশকতাকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। তারা বিভিন্ন ঘটনায় আটককৃত নাশকতাকারীরা ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়ে তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। নাশকতাকারীরা অন্য কারও তথ্য দিলে তাদের আটক করে বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজন পড়ে। তখন ওই নাশকতাকারীর দেয়া তথ্যানুযায়ী অভিযান পরিচালনার সময় পালানোর চেষ্টা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।

তিনি বলেন,`পুলিশ কখনো ইচ্ছেকৃতভাবে এনকাউন্টার করে না। পরিস্থিতির কারণে এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। অনেক সময় নাশকতাকারী বা অপরাধীরা তাদের ওপর হামলা চালায় তখন আত্মরক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়। ৯৬ ও ১০৭ ধারা মোতাবেক পুলিশ সদস্যরা তাদের আত্মরক্ষার অধিকার রাখেন। এবং দেশের যেকোনো নাগরিক অধিকার রয়েছে।

এক সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আগের চেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। আপনারা দেখেছেন গত ২/৩ দিনে বাসে আগুনের ঘটনা নেই। রাজধানীতের যানজট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে সহিংসতা কমে আসবে। আইনের উর্দ্ধে কেউ নয়। যারা অপরাধ করবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। সহিংসতা ও নাশকতা নির্মূলে তিনি নগরবাসীকে পুলিশের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

নাশকতাকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দিতে সহায়তার জন্য যাত্রাবাড়ী এলাকার রিক্সাচালক মোজাম্মেল হককে আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

এছাড়া ঢাবি ক্যাম্পাসে ককটেল নিক্ষেপকারী এক দুর্বৃত্তকে ধরিয়ে পুলিশের সোপর্দ করায় তিন শিক্ষার্থীকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করেন ডিএমপি। তারা হলেন রুহুল আমিন, রিয়াজ আলী ও আল নাহিয়ান খান। পরে অনুষ্ঠান শেষে তারা প্রাপ্ত পুরস্কারের টাকা ঢামেক বার্ন ইউনিটের রোগীদের চিকিৎসার জন্য দান করেন।

জেইউ/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।