তসলিমাকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়ায় প্রতিবাদ
বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে ভারতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়ার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান নেতারা। তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি সুলতান আহমেদ বলেছেন, গত তিন বছরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুসলিমদের আবেগকে সম্মান দিয়ে তসলিমাকে বাংলায় ফিরতে দেননি। তিনি বলেছেন, বাংলা কাজী নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের দেশ। তাই এই মাটিতে তসলিমার কোন জায়গা নেই।
তিনি মোদি সরকারের পারমিট দেয়ার নীতিরও প্রবল সমালোচনা করেন। ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে মুসলিম নেতার নেতৃত্বে আন্দোলন করে তসলিমাকে রাজ্য থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল সেই ইদ্রিশ আলী বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি। তিনি বলেছেন, মোদি সরকার তসলিমাকে রেসিডেন্ট পারমিট দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মুসলমানদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তার অভিযোগ, তসলিমা হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর সমালোচনা করে এবং ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে অবমাননাকর লেখা লিখেই জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। তাই তাকে পারমিট দেবার অর্থ ভারতে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মদত দেয়া।
রাজ্যের মুসলিম নেতাদের অভিযোগ, ভারত সরকার সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মতলার টিপু সুলতান মসজিদের ইমামনুরুর রহমান বরকতি বলেছেন, ভারতে সরকাসকারি মুসলমানদের কোনভাবেই বিজেপি সম্মান দিচ্ছে না। নাখোদা মসজিদের ইমাম মাওলানা মুহাম্মদ শফিক কাশেমি বলেছেন, তসলিমাকে যাতে রেসিডেন্ট পারমিট না দেয়া হয় সেজন্য তিনি নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানাবেন। উল্লেখ্য, ২০০৪ সাল থেকে তসলিমা কলকাতাকে নিজের দ্বিতীয় স্বদেশ মনে করে কলকাতায় ছিলেন। কিন্তু ২০০৭ সালে তাকে জোর করে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করা হয়। তারপর থেকে তিনি দিল্লিতে লোকচক্ষুর আড়ালে বসবাস করে আসছেন।