কঠোর নিরাপত্তায় তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত
রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ অস্থায়ী কারবালা প্রান্তরে জোহরের নামাজ ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহররমের তাজিয়া মিছিল কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এর আগে পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কারবালার বিয়োগাত্মক ঘটনা স্মরণে হোসেনি দালান থেকে এ মিছিল শুরু হয়।
নিরাপত্তা জনিত কারণে এবার দুপুর দেড়টার মধ্যেই মিছিল শেষ করতে হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি হোসনি দালান কর্তৃপক্ষ এবার আলাদা করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছিল। এছাড়া তাজিলা মিছিলকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সরজমিনে দেখা গেছে, হোসনি দালান থেকে সামনে ও পেছনে পুলিশি পাহারায় মিছিলটি ধানমন্ডি লেকের দিকে রওনা হয়। বিভিন্ন রাস্তায় ও মোড়গুলোতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। ধানমন্ডি লেকে জনসাধারণের চলাচলে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। এছাড়া ধানমন্ডি লেকে অবস্থিত অস্থায়ী কারবালার মাঠকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
মির্জা নওয়েশ আলী নামে এক স্বেচ্ছাসেবক জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্দেশক্রমে দুপুর দেড়টার মধ্যেই তাজিয়া মিছিল শেষ করা হয়েছে। নিউমার্কেট হয়ে ধানমন্ডি লেকে অবস্থিত অস্থায়ী কারাবালা প্রান্তরে জোহরের নামাজ আদায় করেন অসংখ্য শিয়া মতাবলম্বী মুসলমানরা।
হোসনি দালানের তত্বাবধায়ক মো. ফিরোজ জানান, এবার এখন পর্যন্ত কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট।
হোসনি দালান ছাড়া রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, রাইফেল স্কয়ারসহ রাজধানী বিভিন্ন স্থান থেকে তাজিয়া মিছিল বের করেন শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা প্র্রতীকী অর্থে হাসান ও হোসাইনের ব্যবহৃত ঘোড়া ও হাতে লাল পতাকা এবং মাথায় কালো কাপড় বেঁধে শোক প্রকাশ করেন।
রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদার জানান, হোসেনি দালান থেকে বের হওয়া মিছিল শেষ হয়েছে ধানমন্ডিতে গিয়ে। সেখানে জোহর নামাজ আদায় শেষে সবাইকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
জেইউ/আরএস/এবিএস