সেপ্টেম্বরে রাশিয়ায় ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’
বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতিকে তুলে ধরার লক্ষ্যে রাশিয়ায় এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’ আয়োজন করা হবে। রোববার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০১৪ সালে ঢাকায় ‘রাশিয়ান সংস্কৃতি দিবস’ ও ২০১৫ সালে রাশিয়ায় ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে অনুযায়ী গতবছর রাশিয়ার ৫১ সদস্যবিশিষ্ট সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। তারা ২০-২৫ নভেম্বর ২০১৪ ঢাকা ও চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর রাশিয়ায় ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’ আয়োজন করা হবে।
সভায় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু রাষ্ট্র। দেশটির সাথে বাংলাদেশের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রাশিয়ায় ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে রাশিয়ার জনগণের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হবে এবং এ প্রক্রিয়ায় দু’দেশের জনগণ পরস্পরের আরও কাছে আসবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, সংস্কৃতি বিনিময়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ‘রাশিয়ান সংস্কৃতি দিবস’ এর মাধ্যমে রাশিয়ার সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস’ এর অনুষ্ঠানমালা আয়োজনে রাশিয়ার সরকার ও জনগণ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করবে।
সভায় এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ায় ‘বাংলাদেশ সংস্কৃতি দিবস-২০১৫’ অনুষ্ঠানে সঙ্গীত, নাচ, শিল্পকর্ম প্রদর্শনীসহ এদেশের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত সেয়া হয়। মস্কো ও কাজান শহরে এটি আয়োজনের ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর-এর সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার এ. নিকোলেভ ছাড়াও সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সংস্কৃতি সচিব ড. রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবা মশকুর, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিরিন আক্তার, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান।
আরএস/আরআই