চলছে উদ্ধার অভিযান, চট্টগ্রাম থেকে আসছে ‘জরিপ-১১’


প্রকাশিত: ০৩:৫১ এএম, ০৫ আগস্ট ২০১৪

পদ্মা নদীর লৌহজং চ্যানেলে ডুবে যাওয়া এমভি পিনাক-৬ লঞ্চটি এবং নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারের জন্য উদ্ধারকারী জাহাজ ‘জরিপ-১১’ চট্টগ্রাম থেকে রওনা দিয়েছে। মধ্যরাতে এটি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছবে। বর্তমানে ৩টি জাহাজের মাধ্যমে অনুসন্ধানের কাজ চলছে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫০মিনিটে এ অভিযান শুরু করে। এর কিছুক্ষণ আগে অভিযানে অংশ নিতে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’।

সোমবার রাতে স্থানীয় প্রশাসন, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সমন্বয় সভায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তবে উদ্ধার অভিযানে অংশে নেওয়া বিভিন্ন বাহিনীর কাজের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যার আগে নৌবাহিনীর একটি দল চারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল উদ্ধার তৎপরতায় নামে। কিন্তু তারাও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে ব্যর্থ হয়।

জেলা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আবদুস সালাম জানিয়েছেন, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় নামা যাচ্ছে না। নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এমন আবহাওয়ায় উদ্ধার অভিযান চালানো কষ্টকর।

লঞ্চে থাকা বেঁচে যাওয়া যাত্রী ফরিদপুরের রফিক মিয়া জানান, লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছিল। আনুমানিক দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী অন্যান্য নৌযানের সহায়তায় তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন।

সোমবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে হিরা (২০) নামে এক তরুণী রয়েছেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।