রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাতিল চায় বিশিষ্টজনরা


প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৬
ফাইল ছবি

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় জ্বালানি বর্জ্য রাশিয়া ফেরত নেবে না মর্মে প্রকাশিত সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশিষ্ট নাগরিকরা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ পরিবেশ ও নিরাপত্তাজনিত সব প্রকার ঝুঁকি নিরসনমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কোনভাবেই অগ্রসর না হবার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

জনমত যাচাই না করে সরকার এ প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ও স্থান নির্বাচন এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। স্বাক্ষরিত চুক্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা বলেন, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আইন ২০১৫`র ৭ (৪) অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পারমাণবিক নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৭ (৫) ও (৬) অনুযায়ী পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উদ্ভুত সব তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের হ্যান্ডলিং, ট্রিটমেন্ট, কন্ডিশনিং এবং ডিসপোজাল নিশ্চিত করে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিভিন্ন সময়ে প্রদত্ত সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী এ বর্জ্যরে সম্পূর্ণ ব্যবস্থাপনার দায়ভার গ্রহণ করবে চুক্তিভুক্ত রাশিয়ার কোম্পানি। অথচ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেরত নেয়ার ব্যাপারে রাশিয়া বাস্তবে রূপপুর প্রকল্পের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংরক্ষণের দায়িত্ব বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে, যা বাংলাদেশের পক্ষে কোন অবস্থায়ই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না, সম্ভবও নয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্ঘটনার আলোকে অত্যন্ত জনবহুল এ দেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে এবং এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদনে অস্বচ্ছতার বিষয়ে দেশের নাগরিক সমাজ বার বার উদ্বেগ জানালেও তা অগ্রাহ্য করে সরকার রূপপুরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিবৃতি দাতারা হলেন- খুশী কবির (সমন্বয়ক, নিজেরা করি), অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল (মানবাধিকার কর্মী), রাশেদা কে চৌধুরী (নির্বাহী পরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান), হামিদা হোসেন (মানবাধিকার কর্মী), অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ (সদস্য সচিব, তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি), ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম (অধ্যাপক, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়), সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (প্রধান নির্বাহী, বেলা), এম হাফিজউদ্দিন খান (সভাপতি, সুজন), সৈয়দ আবুল মকসুদ (বিশিষ্ট সাংবাদিক) এবং ইফতেখারুজ্জামান (নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি)।

জেইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।