লঞ্চডুবির ঘটনায় ২ তদন্ত কমিটি


প্রকাশিত: ০২:৪৩ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০১৪

যাত্রীবাহী লঞ্চ পিনাক-৬ পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। দুই কমিটিকেই ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠন করা ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রধান করা হয়েছে যুগ্মসচিব নূর উর রহমানকে। সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের চার সদস্যের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার এস এম নাজমুল হক।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান। অপর দিকে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর কমিটি গঠন করে আদেশ জারি করেছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কমিটিতে বুয়েটের একজন প্রতিনিধি, বিআইডব্লিউটিএ’র (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ) সদস্য (প্রকৌশল), বিআইডব্লিওটিসি’র (বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন) প্রধান প্রকৌশলী, সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের প্রধান নটিক্যাল সার্ভেয়ার ছাড়াও মাদারীপুর ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সদস্য করা হয়েছে।

অন্যদিকে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন নটিক্যাল সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার ক্যাপ্টেন মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাইফুল হাসানকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মুখ্য পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমানকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের কমিটিকে লঞ্চ দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আইএসও’র যেসব ধারা লঙ্ঘনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা শনাক্ত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংস্থাকে সনাক্তের পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনারোধে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতেও বলা হয়েছে। সোমবার মাদারীপুর জেলার কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা পিনাক-৬ নামক যাত্রীবাহী লঞ্চ সাড়ে ১১টার দিতে পদ্মায় ডুবে যায়। লঞ্চটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিলো। শতাধিক যাত্রী সাতরে তীরে আসতে সক্ষম হয়েছে। নৌ, বাহিনী কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।