প্রতিকূল আবহাওয়ায় লঞ্চ উদ্ধার অভিযান বাধাগ্রস্ত
প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে পদ্মার লৌহজং চ্যানেলে ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি পিনাক-৬ উদ্ধারে তৎপরতা চালাতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আবদুস সালাম সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জানান, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় নামা যাচ্ছে না। নদীতে তীব্র স্রোত রয়েছে। এ ছাড়া থেমে থেমে বৃষ্টিও হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা চালানো কষ্টকর। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া একটু অনুকূলে এলেই উদ্ধার তৎপরতায় নামা হবে।
তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির অভাবে উদ্ধার তৎপরতায় নামতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। উদ্ধার তৎপরতা শুরু করতে মাঝরাত লাগতে পারে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ ‘অগ্নিশাসক’ উপস্থিত হলেও অপর উদ্ধারকরী জাহাজ ‘রুস্তম’ এখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে পারেনি।
এমভি পিনাক-৬ নামের লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পদ্মা নদীর লৌহজং চ্যানেল এলাকায় ডুবে যায়। তীব্র স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তে পড়ে লঞ্চটি ডুবে যায় বলে উল্লেখ করা হলেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই লঞ্চডুবির অন্যতম কারণ বলে অভিযোগ উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের।
লঞ্চে থাকা বেঁচে যাওয়া যাত্রী ফরিদপুরের রফিক মিয়া জানান, লঞ্চটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়েছিল। আনুমানিক দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী অন্যান্য নৌযানের সহায়তায় তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
সোমবার বিকেল ৬টা পর্যন্ত দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে হিরা (২০) নামে এক তরুণী রয়েছেন। তার বাড়ি মাদারীপুরের শিবচরে। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
লঞ্চ ডুবির খবর শুনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাওয়া ঘাটে এসে পৌঁছেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান।