অবহেলিত লিটলম্যাগ কর্ণার
প্রতিবারের মত বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউজের পেছনে বয়রা তলায় ছোট কাগজের স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চত্বরের পরিধি ও বিস্তার শিশুতোষ আঙ্গিকে সাজানো হলেও দর্শনার্থীদের পদচারণায় সেভাবে কখনোই মুখরিত হয় না এ প্রাঙ্গণ। তবে এ নিয়ে লিটলম্যাগ সম্পাদকদের মধ্যে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়াও তৈরী হয় না। তারা মনে করেন, কোনো রকম আর্থিক উন্নয়নের জন্য এ চর্চা নয়। এটি একটি আন্দোলন। তারা সাধ্যমতো নিজের রুচি-অভিরুচির কথা চিন্তা করে নতুন লেখকদের পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য এক একটি লিটলম্যাগ সম্পাদনা করে আসছেন।
সাহিত্য সৃজনের অজনপ্রিয় এ শাখাটির চর্চা বাংলাদেশে মূলত ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয়। সে সময় অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ও মুস্তাফা নূর-উল ইসলামের মতো খ্যাতিমান লেখকরা লিটলম্যাগ প্রকাশ করেন। সে সব লিটলম্যাগ একটি বিশেষ শ্রেণীর কাছে জনপ্রিয়ও হয়ে উঠে। সে বিবেচনায় লিটলম্যাগ চর্চা ৬ দশক পার করেছে। দেশের জনসংখ্যা বাড়ছে, সেইসঙ্গে সংখ্যার দিক থেকে লিটলম্যাগও বেড়েছে। কিন্তু ক্রমানুপাতে বাড়েনি পাঠক। এর প্রমাণ অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বিতীয় দিনেও হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন লিটলম্যাগ সম্পাদকরা।
কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার কোনো রকম হতাশার ছাপ সম্পাদকদের চোখে-মুখে নেই। দৃঢ় মনোবল নিয়ে একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে সময় পার করছেন তারা। তাদের অঙ্গভঙ্গি বলে দেয় মেলায় তাদের আগমন শুধুই নিজের দায়বদ্ধতা থেকে। সেই সঙ্গে তারা পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গিও অনুভব করতে চান। তারা মনে করেন, এভাবেই নতুন লেখক তৈরী হবে।
আরকে/এআরএস/এমএস