বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত


প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি আনলে তা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।

ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি তার মূল প্রস্তাবে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হোক।’ তার এ প্রস্তাবের সঙ্গে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি নূরজাহান বেগম ‘যুদ্ধাপরাধীদের’ শব্দও সংযোজনের সংশোধন প্রস্তাব আনেন।

এরপর আইনমন্ত্রী সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে জাতির মধ্যে যে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, তা আজও বন্ধ হয়নি। কোনো ডাক্তার সেলাই করে এই রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারবে না।

প্রস্তাবটিকে অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তাব আনার আগেই মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী যারা সাজাপ্রাপ্ত আসামি তাদের ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। টাস্কফোর্সের সভায় দণ্ডপ্রাপ্তদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫-১৯৯৬ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বলা যায়নি। শেখ মুজিবুর রহমান বলতে হয়েছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে বাংলাদেশে তাদের কোনো সম্পত্তি থাকতে পারে না। যাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, তাদের সম্পত্তি তাদের ওয়ারিশরা ভোগ করছে। তাদের সম্পত্তি আইনমাফিক বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আর যারা পলাতক, তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্তের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই কাজ শুরু হয়েছে।

আনিসুল হক বলেন, যারা পলাতক রয়েছে আগে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবো। যাদের রায় কার্যকর করা হয়েছে আইন করে তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। বাংলাদেশে তাদের সম্পত্তি থাকতে পারে না।

যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছেন। তাদেরকে যারা হত্যা করেছে তাদের বাংলাদেশে সম্পত্তি থাকতে পারে না। যারা যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধী তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের আইন করার কাজ শুরু হয়েছে।

প্রস্তাবে ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি ‘অবিলম্বে’ শব্দটি সংযোজনের প্রস্তাব করলে আইনমন্ত্রী তা নাকচ করে দেন। তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই অবিলম্বে দরকার নেই।

পরে স্পিকার সিদ্ধান্ত প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়।
 
এইচএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।