রামপাল নিয়ে প্রচারণার বিজ্ঞানসম্মত ভিত্তি নেই


প্রকাশিত: ০১:১২ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্ত্র নির্মাণ করা হলে সুন্দরবন অঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ও প্রচার মাধ্যমে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তার বিজ্ঞানসম্মত কোনো ভিত্তি নেই।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার সংরক্ষিত মহিলা আসনের পিনু খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

মন্ত্রী আরো বলেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ফলে সুন্দরবন অঞ্চলে কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলায় প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিক্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের অবস্থান প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ সুন্দরবনের নিকটস্থ এলাকায় হওয়ায় আলোচ্য প্রকল্পের পরিবেশগত প্রভাব সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি হবে এবং এই প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কনস্ট্রাকশন ও অপারেশন ফেস (contruction and operation phase) সুন্দরবনের উপর যে কোনো ধরনের নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সুন্দরবনের পরিবেশ সুরক্ষায় আলোচ্য প্রকল্পে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আলোচ্য প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত বায়ুর মানমাত্রা পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ এবং ওয়াল্ড ব্যাংক গাইডলাইন এ উল্লেখিত নির্ধারিত মানমাত্রার মধ্যে থাকবে। কোনো ধরনের আনট্রিটেড (Untreated) অথবা হিটেড ওয়াটার (Heated Water) নদীতে নির্গমন হবে না এবং ইটিপিতে (EPT) পরিশোধিত পানি যথাসম্ভব পুনঃব্যবহার করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এর চেয়ে কম সালফারযুক্ত উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লা ব্যবহার করা হবে, যা অস্ট্রেলিয়া/ ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা হবে। এছাড়া উঁচু চিমনি, পানিদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য মিটিগেশন মেজার্স রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে সৃষ্ট ফ্লাই/কটম অ্যাশ (fly/bottom ash) পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কয়লা থেকে যাতে দূষণ না হয় তারও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এইচএস/এসএইচএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।