প্রত্যাশা পুরণ করতে পারেনি পেট্রোবাংলা : জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৭:২৭ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

জ্বালানি খাতে পেট্রোবাংলা একটি বড় প্ল্যাটফর্ম। পেট্রোবাংলার কাছে যতটুকু প্রত্যাশা ছিল তারা সেই প্রত্যাশা পূরণে এগিয়ে আসতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

রোববার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে জ্বালানি বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নসরুল হামিদ বলেন, গত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। যে হার উৎপাদন বেড়েছে, সেই হারে বিদ্যুৎ ব্যবহার সচেতনতা বাড়েনি। এটা সম্ভব হলে দেশ আরো বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হতো।

কত কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় সেদিকে নজর দিতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিকল্প জ্বালানির দিকে নজর দিতে হবে। আমরা সবাই এখন বিকল্প জ্বালানির কথা বলছি। এটা নিয়ে আমাদের গবেষণা করতে হবে।

দেশে মেধাবীদের জন্য গবেষণার যতেষ্ঠ পরিবেশ না থাকায় আপেক্ষ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবক্ষেত্রে গবেষণায় পিছয়ে রয়েছে। আমরা মনে করি এটা আমাদের জন্য না। তাই মেধাবীরা বাইরে চলে যাচ্ছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রদের পাই না। যারা আসে তাদের বড় একটা অংশ আবার চলে যায়। মেধাবীদের ধরে রাখতে হলে গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।

এসময় বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, আমাদের বিকল্প জ্বালানি খুঁজতে হবে। সোলার, বায়ু, কয়লা থেকে কিভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়নো যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশে কয়লা মেইন এনার্জি। অথচ আমরা সুপরিকল্পিতভাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করার ফলে অহেতুক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার রিসার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কায়কাউস, খণিজ সম্পদ সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

এমএ/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।