এমাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা বিবেকবর্জিত : বিশিষ্ট নাগরিক


প্রকাশিত: ১২:২৪ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

খ্যাতিমান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস-চ্যান্সেলর ও ‘শত নাগরিক’ জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করাকে গর্হিত ও বিবেকবিবর্জিত কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ।

শত নাগরিক জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কবি আবদুল হাই শিকদার স্বাক্ষরিত এক বার্তায় জানানো হয়, ড. এমাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ স্তম্ভিত, বিস্মিত এবং আতঙ্কিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিবেক এবং জাতির অভিভাবক হিসেবে পরিচিত সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ তার পুরো জীবন ব্যয় করেছেন জ্ঞানচর্চা, জ্ঞানদান এবং দেশ ও জাতির কল্যাণে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পতাকাকে সমুন্নত রাখাই জীবনের ব্রত হিসেবে নিয়েছেন তিনি। এমন ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে মানুষ হত্যা, রাষ্ট্রদ্রোহিতা এবং জ্বালাও-পোড়াও এর মামলা দায়েরের অর্থ হচ্ছে দেশে সুষ্ঠুতা ও স্বাভাবিকতা বলতে কিছু নেই। তারা চাই আমাদের জাতিরক্ষার শেষ প্রদীপগুলোকেও নিভিয়ে দিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি, দেশের এই চরম সংকটকালে তার (ড. এমাজউদ্দিন আহমদ) মত ব্যক্তিত্ব যখন জাতীয় ঐকমত্যের সরকার প্রতিষ্ঠায় সকলের অংশগ্রহণমুলক নির্বাচনের পক্ষে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে সমাধানের পথ বের করার নিরন্তর চেষ্টা করছেন। রক্তপাত এবং হানাহানির বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট নিয়েছেন সেই সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে সরকার বর্তমান সংকট সমাধানের পথগুলো বন্ধ করে দিতে চাই এবং দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসনকে নির্মূল করতে চাই।

আরো বলা হয়, এই মামলা দায়ের করার অর্থ হল- এ প্রবীণ বয়োজেষ্ঠ্য ব্যক্তিত্বকে মানসিক চাপের মধ্যে নিক্ষেপ করে সমাধানের পথ থেকে তাকে সরে দাড়াতে বাধ্য করা।

তারা এই মামলা দায়েরকে অত্যন্ত গর্হিত, জঘন্য, প্রতিহিংসাপরায়ন ও বিবেকবর্জিত কাজ বলে উল্লেখ করেছেন। সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং এই মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করে প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে বলেও তারা মনে করেন।

বিবৃতিদাতারা হচ্ছেন- সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান মিঞা, প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. তালুকদার মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ আসাফউদ্দৌলাহ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাদেক খান, ড. মাহবুব উল্লাহ, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, কবি আবদুল হাই শিকদার, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা.এজেডএম জাহিদ হোসেন, ড. ওয়াকিল আহমেদ, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. সদরুল আমিন, ড. তাজমেরী এস এ ইসলাম, মাহফুজ উল্লাহ, ড. মোসলেহ উদ্দীন তারেক, গাজী মাযহারুল আনোয়ার, আলমগীর মহিউদ্দিন, সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, কাদের গণি চৌধুরী, ড. রাশিদুল হাসান, ইঞ্জিনিয়ার আনহ আখতার হোসেন, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর আকা ফিরোজ আহমদ, ড. আখতার হোসেন খান, প্রফেসর ইশাররফ হোসেন (মালয়েশিয়া), ড. কেএমএ মালিক (যুক্তরাজ্য), আতিকুর রহমান সালু (যুক্তরাষ্ট্র), জয়নাল আবেদিন (যুক্তরাষ্ট্র), মঞ্জুর আহমেদ (যুক্তরাষ্ট্র), আব্দুল্লাহিল বাকী (ফ্রান্স) প্রমুখ।

উল্লেখ্য, হরতাল অবরোধে ৪২জনকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদের মামলা হয়।

জেইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।