নব্য জেএমবি’র ৭০ শতাংশ শক্তি শেষ : মনিরুল ইসলাম
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের প্রধান (সিটি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় সর্বোচ্চ ও সর্বোশক্তি বিনিয়োগ করেছিল নব্য জেএমবি। তবে বিভিন্ন অভিযানে নব্য জেএমবি’র কমান্ডিং পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ শক্তি ক্ষয় হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, নব্য জেএমবি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বর্তমানে ৪ জন ভারতে অবস্থান করছে। গত এপ্রিলে ২ জন ও সম্প্রতি দুজন পালিয়ে গেছে। তারা এখন নব্য জেএমবি’র কমান্ডিং পর্যায়ের। আর কোনো হামলা যাতে না হয় সেজন্যও অভিযান চলছে।
তিনি বলেন, ‘গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় জঙ্গিরা সর্বোচ্চ ও সর্বোশক্তি বিনিয়োগ করেছিল। তাদের লিডারশিপের বেশ কয়েকজন গুলশান, শোলাকিয়া হামলার পর নিহত হয়েছে। কল্যাণপুরে অন্তত ছোট বড় সব মিলে ৪ জন কমান্ডার পর্যায়ের মারা গেছে, মূল কো-অর্ডিনেটর তামিম চৌধুরী। তিনি অর্থ যোগান ও সমন্বয় ও যোগাযোগের কাজটি করতেন। তামিম পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নারায়ণগঞ্জে মারা গেছে।
পরবর্তী পর্যায়ে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জাহিদ ও তানভীর কাদেরী নেতৃত্ব দিয়েছে। মিরপুরের রূপনগরে প্রশিক্ষক ছিলেন জাহিদুল ইসলাম (মেজর মুরাদ)। জঙ্গিদের জন্য বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে দেওয়ার সমন্বয়কারী জঙ্গি তানভীর (করিম)। এরাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারাও অভিযানে মারা গেছে।
তবে এখন মারজান বা গান্ধি ছাড়া আরো দুজন ভারতে পালিয়েছে। রাজশাহীর প্রফেসর রেজাউল করিম হত্যার পর রিপন ও খালিদ নামে দুজন গত এপ্রিলে ভারতে পালিয়ে যায়। তবে তাদের দেশে ফিরে আসার খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
আজিমপুরের তিন নারী জঙ্গির পরিচয় পাওয়া গেছে উল্লেখ করে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরো বলেন, ফেরদৌসি আফরিন, আবেদাতুল ফাতেমা ও শায়লা আফরিন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, আজিমপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া বাসারুজ্জামানের সন্তান সাবিহা জামানকে নানার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। জাহিদুল হকের সন্তান জুনায়রা পিংকিকে দাদার জিম্মায় দেয়া হয়েছে। নিহত তানভীর কাদেরীর কিশোর ছেলে তাহরীর কাদেরী রাসেলকে (১৪) আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জেইউ/জেএইচ/আরআইপি