গুলশান হামলার অস্ত্র এসেছিল ভারত হয়ে


প্রকাশিত: ০৯:০৪ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬
ফাইল ছবি

গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্র ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছিল বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।

সোমবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের চালান এসেছিল দেশের বাইরে থেকে। অস্ত্রের যোগানদাতারা রুট হিসেবে ব্যবহার করেছিল সীমান্ত। ভারত হয়ে বাংলাদেশে অস্ত্রগুলো প্রবেশ করেছিল। তবে অস্ত্রগুলো ঠিক কোন দেশের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তিনি আরো বলেন,  গুলশান, শোলাকিয়া, কল্যাণপুরের স্টর্ম ২৬, নারায়ণগঞ্জের হিট স্ট্রং ২৭ এর ঘটনা পর্যালোচনা ও তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। এর একটা বড় ধরনের চিত্র আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি তদন্তে। এর পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা অনেকটা নিশ্চিত। তদন্তে যাদের নাম এসেছে তাদেরই কেউ কেউ অভিযানে নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে। কেউ জীবিত আটক হয়েছে। কয়েকজনকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।

মনিরুল ইসলাম বলেন-  গুলশান, শোলাকিয়া হামলায় জড়িতদের প্রধান ট্রেইনার ছিলেন আবু রায়হান তারেক। যিনি কিনা গাইবান্ধায় জঙ্গিদের ট্রেনিং দিয়েছেন। তিনি কিন্তু অভিযানে নিহত হয়েছেন।

অস্ত্রের যোগান সম্পর্কে তিনি বলেন, কল্যাণপুরের অভিযানে জীবিত উদ্ধার রিগ্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক তথ্য মিলেছে। গুলশান ও শোলাকিয়া হামলায় জড়িত জঙ্গিদের ব্যবহৃত অস্ত্র এসেছিল ভারত হয়ে। তবে তা বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে আবার বাংলাদেশে আনা হয়েছে কিনা, কিংবা অন্য কোনো রুট দিয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে কিনা তা জানা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে, অস্ত্র ভারত হয়েই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তা জানার চেষ্টা চলছে। আরো যাদের নাম বিভিন্ন ঘটনায় উঠে এসেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

জেইউ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।