দিনমজুর ঝন্টু-মহিদুল রাত পোহালেই কসাই


প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভোরের আলো তখনো ঠিকমতো ফোটেনি। শাহবাগ মোড় থেকে দ্রুত পায়ে কাঁটাবনের দিকে হেঁটে আসছিলেন আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী পাঁচজন মানুষ। এদের দু’জন লুঙ্গি, দু’জন রংচটা জিন্স প্যান্ট পরিহিত। কেউ পরেছেন হাফ শার্ট, কেউ ফুল শার্ট আবার কেউবা ভি সেইপের রঙ্গিন গেঞ্জি। পায়ে কারও স্যান্ডেল আবার কারও রাবারের জুতো। তিনজনের মাথায় ভারি বোঝা ও দু’জনের হাতে চটের ব্যাগ।

দলবেঁধে এভাবে দ্রুত পায়ে হেঁটে যেতে দেখে কৌতূহলবশত এ প্রতিবেদক তাদের নাম পরিচয় জিজ্ঞাসা করতেই কিছুটা ইতস্তত ও জবুথবু হয়ে ঝন্টু মন্ডল ও মহিদুল নামের দুজন জানালেন, তারা সবাই একই এলাকার লোক। একজন যশোরের চৌগাছা ও বাকি চারজন ঝিনাহদহের মহেশপুর থেকে আজ সকালেই বাসে ফকিরাপুল এসেছেন। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে এলিফ্যান্ট রোড বাটা সিগন্যালের সামনে একই এলাকার পরিচিত জনৈক সামাদ নামের এক চায়ের দোকানদারের কাছে যাচ্ছেন।

তাদের পেশা ও কেন ঢাকায় এসেছেন জানতে চাইলে তারা জানান, পেশায় তারা দিনমজুর। কিন্তু ঈদের আগের দিন আসার কারণ হলো আগামীকাল তারা এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় কোরবানির পশু কাটাকাটির কাজ করবেন। আর তাই গ্রাম থেকে পশু কাটার চাপাতি, ছুরি ও চাকুসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসেছেন।

কথা প্রসঙ্গে তারা জানান, গত দুই বছর চায়ের দোকানদার সামাদই তাদের খবর দিয়ে নিয়ে আসেন। সামাদই এলাকার লোকজনেরর কাছ থেকে গরু কাটার চুক্তি করেন। তার বাসায় রেখে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে দেশে যাওয়ার সময় প্রত্যেককে পাঁচ/ছয় হাজার করে টাকা ও যাওয়া আসার ভাড়া দিয়ে দেন।

তারা পাঁচজন মিলে ছয় থেকে সাতটি গরু বানাতে পারেন। এ বছর টাকা কিছু বেশি পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সামাদ। এ সময় সামাদের মোবাইল ফোন পেয়ে তারা দ্রুত পায়ে ওই স্থান ত্যাগ করেন।

এমইউ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।