জমজমাট রাজধানীর গো-খাদ্যের বাজার


প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৬

কুরবানির পশুকে কেন্দ্র করে জমজমাট রাজধানীর গো-খাদ্যের বাজার। রাজধানীর কমলাপুর ও আফতাবনগর হাট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পশুর হাটে গো-খাদ্যের অতিরিক্ত চাহিদা। গো-খাদ্য বিক্রেতাদের অনেকেই পশু বিক্রেতা। কেউ আবার মৌসুমি ব্যবসায়ী। কুরবানির হাটের চার-পাঁচদিন আগে পেশা বদলে এই ব্যবসায় করেন তারা।

বংশালের গো-খাদ্য বিক্রেতা আবদুল্লাহ আল-মামুন। পেশায় মোটরসাইকেল মেরামতকারী। তবে ঈদের ছুটিতে বন্ধুদের নিয়ে কমলাপুরে গো-খাদ্যের ব্যবসা করছেন। মামুন বলেন, আমরা কয়েকজন বন্ধু খড় ও গরুর ভুষির ব্যবসা করছি। দোহার থেকে খড়ের বড় বড় আঁটি এনেছি। ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত আঁটি করা হয়েছে। এগুলোতে প্রায় ৩০ শতাংশের মতো লাভ থাকে।

cow

রাজধানীর হাটগুলোতে বিক্রীত গো-খাদ্যের মধ্যে রয়েছে খড়, সবুজ ঘাস, গম ও খেসারির ভুষি, মসুরের দানা, চালের খুদ, ধানের গুঁড়া ও খৈল। বায়েজিদ নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গত দু-তিনদিন মানুষ শুধু গরু দেখেছে। আজ থেকে পরবর্তী দিন তারা গরু কিনবে এবং গো-খাদ্যের চাহিদা আরো বাড়বে। চাহিদা অনুযায়ী দামও বাড়তে পারে।

এদিকে গরুর পাশাপাশি ছাগলের খাদ্যেও রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। শিশুদের ২০ টাকা করে কাঁঠালপাতার ডাল কিনতে দেখা গেছে।

তাহজিদ নামের এক শিশুর কাছে জানতে চাইলে সে বলে, বাসায় দুটি খাসি এনেছি। তাদের খাওয়াতে পাতা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। তবে পাতার দাম অনেক বেশি।

cow

এছাড়া রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় মৌসুমি ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নিজ দোকানের বািইরে গো-খাদ্য নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর মুগদায় দীর্ঘদিন ধরে সবজির দোকান করেন আক্কাস আলী। দোকানের ঠিক সামনে তার ছেলে অন্তুকে বসিয়ে বিক্রি করছেন গো-খাদ্য। তিনি বলেন, কুরবানির আগে শেষ দুই-তিনদিন গো-খাদ্যর জমজমাট ব্যবসা হয়। তাই প্রতি বছরই এই সময়ে গো-খাদ্য বিক্রি করি।

এআর/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।