দেশে দুই চারটা দুর্নীতিবাজ থাকবেই : পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেছেন, দেশে কতজন দুর্নীতিবাজ আছে তা বলতে পারবো না। তবে দেশে দুই চারটা দুর্নীতিবাজ থাকবেই। এছাড়া দেশে অপচয় ও সিস্টেম লস এখনো অনেক আছে বলেও জানিয়েছন তিনি।
রোববার ‘চ্যালেঞ্জিং ইন্টারফেইস অব সিকিউরিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) সেমিনাটির আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা জোরদার করতে বহুগুণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। আমরা কদিন আগেও এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারিনি। ৬ষ্ঠ ও ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এ বিষয়ে একটি লাইনও নেই। এটা আমাদের একার সমস্যা নয়।এ সমস্যা বিশ্বব্যাপী।
প্যানেল আলোচক হিসেবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার বলেন, জনগণের সম্মতির শাসনই গণতন্ত্র। নগরিক অধিকার চর্চা করতে না পারলে গণতন্ত্রের চর্চা হয় না। তবে আমরা পাকিস্তানের রেখে যাওয়া শক্তিশালী কিছু প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছি।
ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নিরাপত্তার নামে গুলশানকে আরো অনিরাপদ করে তোলা হচ্ছে। কয়েকটি রিক্সা, বাস চালু করা হয়েছে কিন্তু প্রতিটি লেন বন্ধ করা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হচ্ছে।
এফবিসিসিআইর সাবেক প্রেসিডেন্ট মীর নাসির হোসেন বলেন, সমাজে ফ্রাস্টেশন কাজ করছে, তরুণদের প্রতি সমাজ যথাযথ দায়িত্ব পালন করছেনা। বাবা-মা এতো ব্যস্ত যে সন্তানদের খেয়াল রাখছেনা।
মামুন রশিদ তার গবেষণায় উল্লেখ করেন, উন্নয়নের জন্য নিরাপত্তা প্রয়োজন কিন্তু অতিরিক্ত নিরাপত্তা সাধারণ মানুষ হতে সরকারকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তাবলয় তৈরি করতে গিয়ে অনেক প্রাধিকার বিষয়গুলো বঞ্চিত হয়।
সিজিএস এর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও চিফ অব দ্যা আর্মি স্টাফ লে. জেনারেল (অব.) নুরুদ্দিন খান। বক্তব্য রাখেন, বিআইআইএসএস এর গবেষণা পরিচালক কর্নেল ইফতেখার আহমেদ, রাষ্ট্রদূত ওয়ালীউর রহমান প্রমূখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, অর্থনীতিবিদ মামুন রশিদ।
এমএ/এএইচ/এবিএস