মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর


প্রকাশিত: ০৪:৪৪ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর। শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির মঞ্চে এই আলবদর নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের বলেন, রাত ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে পৌঁছে দেওয়া হবে।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এটি ফাঁসি কার্যকরের ষষ্ঠ ঘটনা। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।

কারাগার সূত্র বলেছে, পৌনে ৩টার পর পর ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ পৌঁছায় কারাগারে। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। রাত পৌনে ৮টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স। এসময় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন সিভিল সার্জন আলী হায়দার।

যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে এই প্রথম কারও সাজা কার্যকর হচ্ছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। এর আগের পাঁচজনের দণ্ড কার্যকর হয়েছিল ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগারে, যা সম্প্রতি কেরানীগঞ্জে স্থানান্তর হয়েছে।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে মীর কাসেমকে ২০১৪ সালে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। চলতি বছর মার্চে আপিল বিভাগেও সেই রায় বহাল থাকায় তিনি রিভিউ আবেদন করেন। আপিল বিভাগ গত ২৮ আগস্ট রিভিউ আবেদন খারিজ করে দিলে কাসেমের মামলার সব বিচারিক প্রক্রিয়ার পরিসমাপ্তি ঘটে।

এআর/এএস/আরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।