দেশে স্যানিটেশন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯৭ শতাংশ

গত এগার বছরে দেশে স্যানিটেশন ব্যাহারকারির সংখ্যা দ্বিগুনেরও বেশী হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৯৭ শতাংশ মানুষ কোন না কোন ধরণের স্যানিটেশন ব্যবহার করছে। ২০০৩ সালে এটা ছিল মাত্র ৩৩ শতাংশ। অপর দিকে খোলা স্থানে মলত্যাগকারীর হার কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র তিন শতাংশে। ২০০৩ সালে যা ছিল ৪৪ শতাংশ।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত দুইদিনব্যাপী দক্ষিণ এশিয় স্যানিটেশন সম্মেলনের ইন্টার কান্ট্রি ওয়ার্কিং গ্রুপের (আইসিডব্লিউজি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রাম নামক পরিচালিত আন্তর্জাতিক জরিপের তথ্য তুলে ধরে সভায় বক্তারা জানান, বর্তমানে দেশে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারকারী পরিবার ৫৭ শতাংশ; যৌথভাবে স্যানিটেশন ব্যবহারকারী পরিবার ২৮ শতাংশ এবং অনুন্নত স্যানিটেশন ব্যবহারকারী পরিবার ১২ ভাগ। অবশিষ্ট মাত্র তিন ভাগ পরিবার খোলা জায়গায় মলমূত্রত্যাগ করে থাকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশংসার দাবি রাখে। তবে উন্নত স্যানিটেশনের হার বৃদ্ধির কাযর্ক্রম গ্রহণের জন্য সকলে একমত পোষণ করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মঞ্জুর হোসেন বলেন, প্রতিটি বাড়িকে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থার মধ্যে আনা বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। স্যানিটেশন কার্যক্রমে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এবং পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রমকে বেগবান করতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কার্যকর নীতিমালা এবং কৌশলপত্র ইতোমধ্যে প্রণীত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে জাতীয় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন নীতিমালা-১৯৯৮, জাতীয় আর্সেনিক নীতিমালা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা-২০০৪, জাতীয় স্যানিটেশন কৌশলপত্র-২০০৫, সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান ২০১১-২৫, হাইজিন প্রোমোশন কৌশলপত্র-২০১২ উল্লেখযোগ্য।
ডিপিএইচ এর প্রধান প্রকৌশলী খালেদা আহসান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আটটি রাষ্ট্রের স্যানিটেশন ও পানি ব্যবস্থাপনায় সাউথ এশিয়ান কনফারেন্স অন স্যানিটেশন (স্যাকোসেন) একটি শক্তিশালী প্লাটফর্ম। যার মাধ্যমে কিভাবে সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিজস্ব দেশে শতভাগ স্যানিটেশন নিশ্চিত করা যায়, তার পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ৯৭ শতাংশ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রসংশার দাবি রাখে।
আগামী বছর ১১-১৩ জানুয়ারি ঢাকায় দক্ষিণ এশিয় দেশসমূহের ৬ষ্ঠ স্যানিটেশন সম্মেলন স্যাকসেন-৬ অনুষ্ঠিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। ২০০৩ সালে এ সম্মেলন বাংলাদেশে প্রথম অনুষ্ঠিত হয়।
এচাড়া সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব ও স্যাকেসেন সচিবালয়ের সমন্বয়কারী আকরাম-আল হোসাইন, স্ট্যামফোড ইউনিভাসিটর উপাচার্য ও স্যানিটেশন বিশেষজ্ঞ ড. ফিরোজ আহমেদ, স্যাকোসেন ফোকাল পার্সন ও যুগ্ম সচিব মো: খাইরুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৗশলী মো: ওয়ালী উল্লাহ, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞগণ প্রমুখ।
আরএস