শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে তীব্র যানজট


প্রকাশিত: ০৯:৩৪ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ছুরিকাঘাতে সুরাইয়া আক্তার রিশার (১৪) নামে এক ছাত্রীর মৃত্যুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা।    

অবরোধের কারণে কাকরাইল মোড় থেকে বিজয়নগর, পল্টন মোড় হয়ে গুলিস্তান পর্যন্ত যান চলাচল অনেকটাই স্থবির হয়ে পরে। এদিকে কাকরাইল মোড় থেকে শাস্তিনগর, মালিবাগ মোড় হয়ে মৌচাক, মগবাজার পর্যন্ত যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীরা।

অন্যদিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকা ধর্মঘট কর্মসূচির কারণে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে পুরান ঢাকা। রোববার সকাল থেকে পুরান ঢাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে গুলিস্তান থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা পুলিশ প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিশা হত্যার আসামিকে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে সড়কে অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে। কিন্তু সড়ক অবরোধের কারণে সৃষ্ট যানজটে এখন অনেকটাই স্থবির এই পথ।
 
রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে দিলেও এখন যানজট থেকে মুক্ত হয়নি ওই এলাকা।  

পল্টন থেকে নতুনবাজার যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিলেন তৈয়বুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। দীর্ঘক্ষণ কাকরাইলের যানজটে আটকে থাকায় তিনি বাধ্য হয়ে হাঁটতে শুরু করেন। তৈয়বুর রহমান বলেন, যানজটের কারণে অনেকক্ষণ বাসে বসেছিলাম, কিন্তু যানচলাচল স্থবির। বিজয়নগর মোড় থেকে হেঁটে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত গিয়ে আবার বাসে উঠবো। এমনিই সবসময় যানজট থাকে, তার ওপর আবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। রাস্তায় চলাচল করাই মুশকিল।

শান্তিনগর মোড়ে যানজটে আটকা পড়ে বাধ্য হয়ে হাঁটতে শুরু করেন সিটি কলেজের শিক্ষার্থী হামিদুর রহমান। তিনি বলেন, আমার একটা জরুরি কাজে সিটি কলেজে যেতে হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে রাস্তা বন্ধ। অনেকক্ষণ যানজটে বাসে বসেছিলাম। কিন্তু অবস্থা বেগতিক দেখে হাঁটতে শুরু করেছি।

এএস/এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।